লকডাউনে স্তব্ধ মুন্দ্রা বন্দর।
করোনা-পরিস্থিতি জোরাল ধাক্কা দিতে পারে ভারতের অর্থনীতিতে। এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, লকডাউন পরিস্থিতির জেরে চলতি অর্থবর্ষে গোটা দেশের মোট আর্থিক ক্ষতি হতে পারে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা ২১ দিনের লকডাউনেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এর জেরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই এমন পরিস্থিতিতে আরও জোরাল হচ্ছে আর্থিক প্যাকেজের দাবি।
ভারতে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্কও। এমন পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখাটাই প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তাই মঙ্গলবার আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই পরিস্থিতি উতরে যাওয়ার পর দেশকে আরও কী কী ধাক্কা সহ্য করতে হতে পারে? কতটা গভীরে যেতে পারে আর্থিক সঙ্কট? নতুন আশঙ্কার কথাও আগাম শুনিয়ে রেখেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ আর্থিক সংস্থা বার্কলে হিসাব কষে জানিয়ে দিচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ১.৭ শতাংশ পয়েন্ট কমে হতে পারে ৩.৫ শতাংশ।
এর মধ্যেই আগামী ৩ এপ্রিলই দ্বিমাসিক নীতি ঘোষণা করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তখন সুদের হার কমানো হতে পারে। রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণও লাগামছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে সংক্রমণ ছিল আগে থেকেই। আর তা নিয়ে আশঙ্কাটা এ বার আরও বাড়িয়ে দিল করোনা-পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত প্রিন্স চার্লস, রয়েছেন আইসোলেশনে
করোনা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২১ দিনের লক ডাউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অনেকেই। তার মধ্যে রয়েছে আর্থিক সংস্থা এমকে-ও। তবে এই পরিস্থিতি অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা দিতে পারে বলে সেই সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে বলছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy