ছবি: পিটিআই।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) নতুন খাতা খোলা যদি আদৌ চাকরি-বাজারের মাপকাঠি হয়, তা হলে আগের বছরের শেষের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম মাস কিছুটা হলেও ভাল খবর বয়ে এনেছিল দেশের অর্থনীতির জন্য। কিন্তু ভারত তথা বিশ্ব অর্থনীতির উপরে করোনার এই ভয়াল আক্রমণ সেই কাজের বাজারকে কোন জায়গায় দাঁড় করাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই।
বুধবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ইপিএফের খাতায় নতুন নাম তুলেছেন ৮.৪৩ লক্ষ জন। তেমনই নাম কাটা গিয়েছে ৬.৬১ লক্ষ জনের। অর্থাৎ, নিট সংযোজন ১.৮২ লক্ষ। আগে নাম কাটিয়ে এ মাসে ফের খাতা খুলেছেন, এমন কর্মীর সংখ্যাও ৭.৩ লক্ষ। সেখানে জানুয়ারিতে পিএফে নতুন খাতা খুলেছেন ৭.৫ লক্ষ। নাম কাটা গিয়েছে ৩.৩১ লক্ষ জনের। সুতরাং নিট সদস্য সংখ্যা বেড়েছে ৪.১৯ লক্ষ। যা ডিসেম্বরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফিরে আসা পুরনো সদস্যের সংখ্যা অবশ্য ডিসেম্বরের থেকে কম (৬.২৬ লক্ষ)। কর্মী বিমা প্রকল্পেও (ইএসআই) আগের বছরের শেষ মাসের (১২.৯ লক্ষ) তুলনায় এ বছরের প্রথম মাসে (১২.৬ লক্ষ) নতুন নাম লিখিয়েছেন কম জন। যদিও সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ইপিএফে নিট নতুন নাম লেখানো কর্মীর সংখ্যা দেখে অনেক সময়ে কাজের বাজারের পরিস্থিতির একটা আলগা আঁচ পাওয়া যায়। কিন্তু তা মূলত সংগঠিত শিল্প ও পরিষেবার। করোনার দাপটে এখন জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারত-সহ সারা বিশ্বের অর্থনীতি। ভাইরাসের প্রকোপ কমলেও, অর্থনীতির উপর থেকে তার ছায়া কবে সরবে, এখন থেকে তা আঁচ করতে পারছেন না প্রায় কেউই। তাঁদের আশঙ্কা, এত দিন টানা বিক্রিবাটায় তালা ঝোলার পরে বাকি পৃথিবীর মতো মুখ থুবড়ে পড়তে পারে ভারতের সংগঠিত ক্ষেত্রের অনেক শিল্প। আর অসংগঠিত ক্ষেত্রের ছবি যে কেমন হতে পারে, তা আঁচ করেও শিউরে উঠছেন তাঁরা। তাই করোনাভাইরাসের কামড়ের পরে দেশে কাজের বাজারের ছবি কেমন দাঁড়ায়, সে দিকেও নজর সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy