সীমান্ত পথে দু’পারের নাগরিকেরা ফিরছেন নিজের দেশে।
চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহির্বাণিজ্য হয়। এর ফলে সীমান্ত বাণিজ্যে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে। তেমনই ব্যবসায়িক কারনে সীমান্তের এই এলাকায় প্রচুর মানুষের জমায়েতও হয়।
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর যখন বেশ কিছু নির্দেশিকার মধ্যে ভিড় এড়ানোর বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছে তখন এই সীমান্ত দিয়ে বহির্বাণিজ্যের কারণে প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে। তা ছাড়া ভিন্্রাজ্যের চালকদের পাশাপাশি বাইরে থেকে প্রচুর মানুষের যাতায়াত করছেন। সেই কারণে বহির্বাণিজ্য বন্ধ রাখার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা সরব হন। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুনির্মল গুহ এলাকাবাসীর সুরক্ষার স্বার্থে সাময়িক বাণিজ্য বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের কাছেও দাবি জানান। অবশেষে শনিবার সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে রবিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহির্বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকে স্থানীয় জন প্রতিনিধির পাশাপাশি চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট ও ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মূলচাঁদ বুচ্চা বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস যে ভাবে বিশ্ব জুড়ে থাবা বসাচ্ছে তাতে এটা লাভ-ক্ষতি বোঝার সময় নয়। ভিড় এড়ানো গেলে এই ভাইরাস অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই কারণে এ দিনের বৈঠকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহির্বাণিজ্য বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, শুল্ক দফতর এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে তাঁদের দাবি মেনে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে আপাতত বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য সুনির্মল গুহ-সহ অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy