—প্রতীকী চিত্র।
আবার বিতর্কের মুখে ভারতে সরাসরি পণ্য বিক্রির ব্যবসায় যুক্ত (ডিরেক্ট সেলিং) বহুজাতিক অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া। তাদের বিরুদ্ধে বহুস্তরীয় বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে অর্থ সংগ্রহ করা ও তার প্রায় ৭০% বিদেশে সরানোর অভিযোগ তুলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও সংস্থা তা অস্বীকার করে দাবি করেছে, নিয়ম মেনেই এ দেশে প্রায় ২৫ বছর ধরে ব্যবসায় যুক্ত তারা।
অ্যামওয়ের মতো ডিরেক্ট সেলিং সংস্থাগুলির হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সরাসরি পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাকে। ব্যবসার এই পদ্ধতি নিয়ে আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বার ফের ইডি-র অভিযোগ, এটি বেআইনি অর্থ লগ্নির ব্যবসাই। কেউ যত বেশি সংখ্যক নতুন বিক্রেতা-সদস্যকে এই ব্যবসায় পণ্য বিক্রির জন্য সুপারিশ করতে পারবে (যা পিরামিডের মতো বহুস্তরীয়), তার ভিত্তিতে কমিশন পাবেন। ইডি-র অভিযোগ এ ভাবে ভারত থেকে ৪০০০ কোটি টাকারও বেশি বেআইনি ভাবে তুলেছে অ্যামওয়ে। তার ২৮৫৯ কোটি ডিভিডেন্ড, রয়্যালটি এবং অন্যান্য খরচের খাতে বিদেশের অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। এ নিয়ে হায়দরাবাদের বিশেষ আদালতে মামলাও করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
এর আগে অ্যামওয়ের দাবি ছিল, পণ্য বিক্রি থেকেই আয় করেন বিক্রেতারা। বেআইনি অর্থ লগ্নি হয় না। এ দিনও সেই কথা জানিয়ে বলেছে, অভিযোগটি ২০১১ সালের। যে তদন্ত সহযোগিতা করছে তারা। সংস্থার ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসের উপর দাঁড়িয়েই
এ দেশে ২৫০০ কর্মী ও ৫.৫০ লক্ষ স্বাধীন বিক্রেতার স্বার্থ রক্ষার্থে সব সমস্যার মোকাবিলা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy