—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা। মঙ্গলবার বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দাবি, বিদ্যুতের জোগানে অভাব নেই। বিরোধীরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন। মূলত প্রাকৃতিক এবং কিছু যান্ত্রিক ত্রুটিতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১১-র পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সার্বিক ভাবে বিদ্যুতের উন্নয়নে ২৭,০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে।
সূত্রের খবর, এ দিন উন্নয়ন ভবনের এক অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় শহিদ মিনারে অবস্থানে থাকা সরকারি কর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরে বিদ্যুৎমন্ত্রীর দাবি, বিদ্যুৎ কর্মীরা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করছেন। দফতর ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্র জানিয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা ছিল না। উন্নয়ন ভবনেই সমস্যা থাকতে পারে।
রাজ্যে সিইএসসি এবং বণ্টন সংস্থার কিছু এলাকায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকা, ভোল্টেজ কমা, রক্ষণাবেক্ষণে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা সরবরাহ বন্ধের কারণে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। একই অভিযোগ তুলে সোমবার হঠাৎ বিদ্যুৎ দফতরে হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তাঁর নাম না নিলেও অরূপ বলেন, ‘‘বিরোধীরা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। কিন্তু ভুল পরিসংখ্যান দেওয়া ঠিক নয়।’’ শুভেন্দুর অভিযোগ খণ্ডন করে মন্ত্রীর দাবি, এটা বলা ভুল যে, সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাম আমলে হয়েছে। সাগরদিঘিতে দু’টি এবং ডিপিএলে একটি নতুন মিলিয়ে ১২৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র হয়েছে। সাগরদিঘিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যুৎ মিলিয়ে রাজ্যের উৎপাদন ক্ষমতা ৯৫২১ মেগাওয়াট। শুভেন্দু বলেছিলেন, কয়লার অভাবে কোলাঘাট, ব্যান্ডেলের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ। অরূপের জবাব বলন, ‘‘ওঁকে বুঝতে হবে, ওগুলো বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের নিয়ম মেনেই বন্ধ হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy