মুম্বই, ১১ মার্চ: দেশে কার্ড, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বাড়ছে বলে সোমবার সংসদে জানিয়েছিল কেন্দ্র। দেখা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) টাকা মেটানোর এই সমস্ত মাধ্যম-সহ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় ১০৭ কোটি টাকা হারিয়েছেন মানুষ। সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের ঘটনায় প্রতারিত ব্যক্তিদের প্রতি তিন জনের মধ্যে দু’জনই চান ব্যাঙ্ক তাঁদের হারানো টাকা ফেরত দিক। আবার অর্ধেকের দাবি, প্রতারণা আটকাতে গ্রাহক সুরক্ষায় আরও কড়া নজরদারি ব্যবস্থা আনুক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি।
গত বছর ১৪টি দেশের প্রায় ১১,০০০ জনকে নিয়ে সমীক্ষাটি চালিয়েছিল বিশ্লেষক সংস্থা ফিকো। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে টাকা হস্তান্তর, জালিয়াতি ও ব্যাঙ্কের প্রতারণা রোখার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল তারা। ভারতে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট ‘দ্য ২০২৪ স্ক্যাম ইম্প্যাক্ট সার্ভে: ইন্ডিয়া’ অনুসারে, তাতে অংশগ্রহণকারী এ দেশের বেশির ভাগই (৮৭%) বলেন, তাঁরা বর্তমানে ব্যাঙ্কিং শিল্পে প্রতারণা সামলানোর ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট। তবে প্রায় ৩৭ শতাংশের দাবি, গ্রাহক প্রতারণার ফাঁদে পড়লে তার দায় নিক ব্যাঙ্কগুলি। ৬৬ শতাংশের মতে, ব্যাঙ্কের উচিত দুর্ভোগে পড়া মানুষকে টাকা ফেরানো। ৫৭% চান জালিয়াতির রোখার ব্যবস্থা আরও কড়া হোক এবং ৫০ শতাংশের মতে গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি করে সতর্কবার্তা জারি করুক সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
তবে এত কিছুর মধ্যেও সমীক্ষায় একটা বিষয় স্পষ্ট, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর সংখ্যা তুলনায় কম এখনও। গ্রাহকদের ৫৬% ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
৩০% প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রকের দ্বারস্থ হন। আর মাত্র ৩% ব্যাঙ্ক পাল্টে ফেলেন।
সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)