ছবি: শাটারস্টক।
কারও উপার্জন কমেছে, কেউ হারিয়েছেন তার নিশ্চয়তা। সকাল-সন্ধ্যা করোনা সংক্রমণের ভয় জাঁকিয়ে বসছে মনের গভীরে। এই অবস্থায় কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুতের বিলের অঙ্ক দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠছেন বহু গ্রাহক। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘এত অস্বাভাবিক বেশি বিল হয় কি করে? এই দুর্দিনে মানুষের অসহনীয় অবস্থার কথা না-ভেবে কী ভাবে এ রকম মাত্রাছাড়া খরচের হিসেব কষা হল?’’ দুই বিদ্যুৎ সংস্থারই দাবি, মিটার রিডিং অনুযায়ী নিয়ম মেনেই বিল পাঠানো হচ্ছে। লকডাউনে যে যেমন বিদ্যুৎ খরচ করেছেন, সেই অনুপাতেই বিল হচ্ছে। তবে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তির অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ। অবিলম্বে এর প্রতিকার চাইছেন তাঁরা।
রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা-র সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরীর অভিযোগ, লকডাউনের মাসগুলির রিডিংও এখন একসঙ্গে আসছে। ফলে অনেক গ্রাহক ইউনিট পিছু উঁচু মাসুলের ‘স্ল্যাবে’ পড়ছেন। তাতেই বাড়ছে বিল। প্রতিকার চাইতে তাঁরা শীঘ্রই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যাবেন।
সিইএসসি ও বণ্টন সংস্থার এলাকায় লকডাউনে মিটার রিডিং নেওয়া যায়নি। তাই গ্রাহকেরা প্রভিশনাল বিল পান। যা আগের ছ’মাসের বিদ্যুৎ খরচের গড় হিসেব। দুই সংস্থার কর্তাদের যুক্তি, ওই ছ’মাসের সিংহভাগ শীতকাল থাকায় বিদ্যুৎ খরচ কম হয়েছে। তাই কম হয় প্রভিশনাল বিলও। এখন পুরো হিসেব মিলছে। যার থেকে প্রভিশনাল বিলে মেটানো ইউনিট বাদ দিয়ে বিল পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের যুক্তি, এপ্রিল, মে-তে এসি, ফ্যান চালিয়েও, প্রভিশনাল বিল পাওয়ায় অনেককে কম টাকা দিতে হয়েছে। এখন ঠিক হিসেব মেলায় একাংশের বিল বেশি হচ্ছে।
অভিযোগ কোথায়
• সিইএসসি-র সাইটে। ১৯১২-তে ফোন করে।
• বণ্টন সংস্থার স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারের কাছে লিখিত নালিশ দায়ের করে।
শোভনদেববাবুর বক্তব্য, ভুল হওয়ার কথা নয়। মিটার রিডিং দেখে যা বিল হচ্ছে তা-ই পাঠানো হচ্ছে। এখন গ্রাহকরা যে বিল পাচ্ছেন তাতে এপ্রিল, মে-র বিদ্যুতের খরচ প্রতিফলিত হচ্ছে। ফলে একাংশের বিল বেড়েছে। তবে তিনি জানান, গ্রাহক চাইলে বিল নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy