Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Demonetisation

নোট বাতিল নিয়ে ফের আক্রমণের মুখে মোদী সরকার

২০০০ টাকার নোট আনার পর থেকেই এ নিয়ে জারি চাপানউতোর। বড় নোট ভাঙানোর সমস্যা তো ছিলই। তার উপরে এই নোটে কালো টাকা জমানো সহজ বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার।

An image of Money

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৫
Share: Save:

লোকসভা ভোটের বছরে পা রেখে ফের নোট বাতিলের কথা তুলে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল বিরোধী শিবির। সে জন্য তারা এ বার হাতিয়ার করল বাজার থেকে ৯৭ শতাংশের বেশি ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কের ঘরে ফেরা নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্যকে। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে যা প্রথমবার বাজারে এনেছিল কেন্দ্র। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, নোটবন্দির (৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল) সময়ে দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে কালো টাকা মুক্ত করা ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত বন্ধের মতো যে সমস্ত লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি। উল্টে সেই সিদ্ধান্ত, তার পরেই তড়িঘড়ি জিএসটি চালু এবং পরিকল্পনাহীন ভাবে কোভিডে লকডাউন ঘোষণা ছোট শিল্পের কোমর ভেঙে দিয়েছে। কেন্দ্র অবশ্য বরাবর দাবি করেছে, নোটবন্দির সব লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে।

২০০০ টাকার নোট আনার পর থেকেই এ নিয়ে জারি চাপানউতোর। বড় নোট ভাঙানোর সমস্যা তো ছিলই। তার উপরে এই নোটে কালো টাকা জমানো সহজ বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। বেশ ক’বছর ধরে ওই নোট ছাপানো বন্ধ করেছে আরবিআই। সম্প্রতি হঠাৎ বাজার থেকে তা তোলার কথা ঘোষণা করে তারা। এখন আরবিআইয়ের ১৯টি অফিসে জমা দেওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছে, ৯৭ শতাংশের বেশি ২০০০ টাকার নোটই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কের ঘরে। সেগুলির স্বাভাবিক আয়ু ফুরানোর ফলেই সেগুলিকে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা হয়েছে।

রমেশের তোপ, পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল এবং ২০০০ টাকার নোট আনার সময়ে একে ‘ঐতিহাসিক’, ‘পরিবর্তনশীল’, ‘মোক্ষম চালের’ মতো বিশেষণে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ পরিসংখ্যান বলছে ৯৯.৩% নোটই ফিরে এসেছে। ফলে কালো টাকা ধ্বংস করা, সন্ত্রাসবাদে এর ব্যবহার বন্ধের মতো যে সমস্ত লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি। অথচ নোটবন্দি, জিএসটি চালু ও লকডাউনের মতো মোদী সরকারের একের পর এক হঠকারি সিদ্ধান্তের জেরে দেশে বহু ছোট সংস্থা এবং কারখানা হয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে, নয়তো তার বহর কমাতে হয়েছে। শেয়ার বাজার উঠছে ঠিকই। কিন্তু রাস্তার ধারের বিপণিগুলি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এই পুরো প্রক্রিয়াকে ‘ফালতু’, ‘ফলহীন’ বলেও তোপ দেগেছেন রমেশ। মোদীর নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘এক জনের অহং বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy