গৌতম আদানি। —প্রতীকী চিত্র।
আদানি কাণ্ড নিয়ে ফের কংগ্রেসের তোপের মুখে সেবি। তারা কেন ওই গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। দাবি করেছেন, মরিশাসের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ইতিমধ্যেই দু’টি লগ্নিকারীর লাইসেন্স বাতিল করেছে। অথচ সেবি-ই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ভাবে কী করে মানুষের আস্থা অর্জন করবে তারা? একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটিই (জেপিসি) এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে পারে বলে ফের দাবি করেছেন তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, এক দশকেরও বেশি সময়ে ধরে শেয়ারের দামে কারচুপি করে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে টাকা ঢেলেছে তাদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে। সম্প্রতি ফের সেই অভিয়োগ জানিয়েছে ওসিসিআরপি-ও। আদানিরা অবশ্য বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রমেশের দাবি, ভারতে সেবি অসহায়তা প্রকাশ করলেও, মরিশাসের ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিশন গত বছর আদানি গোষ্ঠীতে টাকা ঢালে এমন সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কালো টাকা লেনদেন-সহ বিভিন্ন আইন ভাঙার অভিযোগ ছিল। এই দু’টি ফান্ডের মূল সংস্থা এমার্জিং ইন্ডিয়া ফান্ড ম্যানেজমেন্ট। যাদের মাধ্যমে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থায় টাকা ঢালতেন তাঁর দাদা বিনোদের পরিচিত চ্যাং চুং-লিং এবং নাসের আলি শাবান আলি।
কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, কেন সেবি মূলধনী বাজারের স্বাধীন নিয়ন্ত্রক হিসেবে লগ্নিকারীদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে? মোদী সরকারের তৈরি করা তন্দ্রা থেকে কি জেগে উঠবে তারা? একমাত্র জেপিসি-ই পারে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy