প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ডলারের সাপেক্ষে টাকার অবাধ পতনকে ফের মোদী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরে তোপ দাগল বিরোধী কংগ্রেস। দাবি করল, টাকার নিরিখে ডলারের ৮৭ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুক্রবার অবশ্য ভারতীয় মুদ্রা বেশ কিছুটা মাথা তুলেছে। এক ডলার ২২ পয়সা পড়ে হয়েছে ৮৬.২২ টাকা।
এ দিন কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের প্রশ্ন, সরকার কি বুঝতে পারছে সাধারণ মানুষের উপর টাকার এতখানি তলিয়ে যাওয়ার কতটা প্রভাব পড়তে পারে? এতে আমদানি করার খরচ বিপুল বাড়বে। যা অত্যাবশ্যক পণ্যগুলির দাম আরও বাড়িয়ে দেবে। চড়বে মূল্যবৃদ্ধি। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি (নরেন্দ্র মোদী) বলতেন, টাকার মূল্যের সঙ্গেই পড়তে থাকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মান। এখন তা হলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মান কোথায় নেমেছে!’’
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট অশ্বানী কুমারের মতে, ‘‘টাকার সাম্প্রতিক অবমূল্যায়ন একটি জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে। এতে রফতানি বাড়বে, এমন ধারণা বাস্তবে অবস্থার অতি সরলীকরণ।’’ বরং তাঁর বক্তব্য, টাকার পতন বহু রফতানি পণ্যের আমদানিকৃত কাঁচামালের খরচ বাড়িয়ে দেয়। ডলার-টাকা বিনিময় মূল্যে অস্থিরতা তৈরি করায় রফতানিকারী তাঁর পণ্যের প্রতিযোগিতায় সুবিধা পাওয়ার মতো দাম ঠিক করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেশে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তোলে। কমায় ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা। যা আর্থিক বৃদ্ধিতে ধাক্কা দেয়। পড়তি টাকায় সরকারের বৈদেশিক ঋণের বোঝাও বাড়ে, দাবি তাঁর।
টাকার দাম লাগাতার কমছে বহু দিন ধরে। ইতিমধ্যেই ডলার ৮৬.৭০ টাকা ছুঁয়ে নজির গড়েছে। সুপ্রিয়ার দাবি, ২০১৪-এ মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তা ছিল ৫৮ টাকা। পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের সময়ে পতনের হার তুলে ধরে অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে মোদী জমানাতেই নজির তৈরি হয়েছে মূল্য ৩৪ শতাংশেরও বেশি কমায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy