—প্রতীকী ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তের সময়সীমা বারবার বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। সর্বশেষ সময়সীমা আজ শেষ হয়েছে। কংগ্রেসের আশা, সেবি আদালতের কাছে আর বাড়তি সময় চাইবে না এবং তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। এই প্রসঙ্গে নির্বাচনী বন্ডের ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্কের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কটাক্ষও জুড়ে দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এটি কংগ্রেসের চাপ বাড়ানোর কৌশল।
নির্বাচনী বন্ডের সবিস্তার তথ্য প্রকাশের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক যে সময় চেয়েছিল তাতে সাধারণ নির্বাচন পার হয়ে যাওয়ার কথা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি মঞ্জুর করেনি। উল্টে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটিকে তুলোধনা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই ঘটনায় স্টেট ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলি। আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘আরও এক স্টেট ব্যাঙ্ক হওয়া সেবির উচিত হবে না। পুণ্যাত্মাদের গায়ে হাত দেওয়ার ব্যাপারে তারা (স্টেট ব্যাঙ্ক)
বেজায় ভীত।’’
আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ করেছিল, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়িয়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। এই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে সেবি। যদিও একাধিক বার তদন্তের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে তারা। রমেশ আজ লিখেছেন, ‘‘২০২৩ সালের ১৪ অগস্টের মধ্যে সেবির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। তারা একাধিক বার সময় বাড়ানোর আর্জি জানানোর পরে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়।... আমাদের আশা, সেবি আর বাড়তি সময় চেয়ে নির্বাচন পার করতে চাইবে না।’’ যদিও একই সঙ্গে আদানি কাণ্ড নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবি থেকে সরে আসেনি কংগ্রেস। রমেশের বক্তব্য, ‘‘শুধু জেপিসির পক্ষেই মোদানি কেলেঙ্কারির ব্যাপ্তি ও গভীরতা বোঝা সম্ভব।... আর তিন মাসের মধ্যেই তা বাস্তব হবে।’’
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy