—প্রতীকী ছবি।
খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমলেও খাবারদাবারের দাম ধারাবাহিক ভাবে চড়া। গতকাল জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) প্রকাশ করা তথ্যেই তা স্পষ্ট হয়েছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কার্যত আটকে রয়েছে একই জায়গায় (৮.৬৯%)। এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে আক্রমণ শানাতে দেরি করল না কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই সমস্যার কোনও সমাধান নেই।
ফেব্রুয়ারিতে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১%। মে মাস পর্যন্ত তা কমেছে যৎসামান্যই (৪.৭৫%)। তবে গত মাসের এক বছরে সর্বনিম্ন। তার পরেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। তা তো চড়া ছিলই, সেই সঙ্গে গত মাসে আনাজের দাম আরও মাথা তুলেছে। আজ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘মোদী হ্যায় তো মেহঙ্গায়ি হ্যায়। খাবারের মূল্যবৃদ্ধির হার গত চার মাস ধরে ৮.৫ শতাংশের উপরে। ডালের ক্ষেত্রে তা এক বছর ধরে দুই অঙ্কে। মে মাসে ১৭.১৪ শতাংশে ঠেকেছে। দামের দৌড় ঠেকানোর জন্য আমরা ন্যায়পত্রে দু’টি সমাধানসূত্র দিয়েছিলাম। বিশেষ করে ডালের ক্ষেত্রে। বলেছিলাম, সেটির ন্যূনতম সহায়কমূল্যের (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া হোক।’’ রমেশ জানান, তাঁদের নির্বাচনী ইস্তাহারে ডালকে গণবণ্টন ব্যবস্থাতেও নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। যা দরিদ্র মানুষের খাবারে প্রোটিন নিশ্চিত করত। কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, ‘‘এক-তৃতীয়াংশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই সমস্যার কোনও সমাধান নেই।’’
গতকাল মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মূল বিষয় ছিল, চাষিদের জন্য ভাল মানের বীজ, সারের জোগান নিশ্চিত করে উৎপাদন বাড়ানো। তাতে আনাজের দামও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম যে নির্বাচনী ধাক্কার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা জানে বিজেপি। সেই কারণেই এই তৎপরতা। তবে মোদীর এই দফাতেও মূল্যবৃদ্ধির অস্ত্রে কংগ্রেস যে আক্রমণ বজায় রাখবে, সেই বার্তা স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy