জুন থেকে যে সব নতুন বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি নথিভুক্ত হবে, সেগুলিতে ভর্তুকি কমানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। প্রতীকী চিত্র।
জুন থেকে যে সব নতুন বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি নথিভুক্ত (রেজিস্ট্রেশন) হবে, সেগুলিতে ভর্তুকি কমানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার পরেই তীব্র অসন্তোষ দানা বেঁধেছে সংশ্লিষ্ট মহলে। ভারী শিল্প মন্ত্রকের ওই সিদ্ধান্ত দেশে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিতে বড় ধাক্কা দেবে বলে আশঙ্কা সেগুলির নির্মাতা সংস্থাগুলর সংগঠন সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক্লস-এর (এসএমইভি)। কারণ, ভর্তুকি কমায় গাড়ি কেনার খরচ বাড়বে বেশ খানিকটা। যা চাহিদা বৃদ্ধির পথে বাধা হতে পারে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এই শিল্পের বিভিন্ন নতুন সংস্থা (স্টার্ট আপ)। তাদের আবার পাল্টা দাবি, এই ভর্তুকির আর প্রয়োজন নেই। নিজের পায়েই দাঁড়াবে দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার।
ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার সম্প্রসারণে ২০১৫ সালে ভর্তুকির প্রকল্প ‘ফেম’ চালু করে কেন্দ্র। ২০১৯-এর এপ্রিল থেকে তিন বছরের জন্য চালু হয় সংশোধিত প্রকল্প— ‘ফেম-২’। পরে সেই সুবিধার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। চালু নিয়মে এতে প্রতি কিলোওয়াট/আওয়ার (কেডব্লিউএইচ) ক্ষমতার ব্যাটারির জন্য ১৫,০০০ টাকা কিংবা কারখানায় তৈরির পরে গাড়ির দামের ৪০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেই অঙ্ক ভর্তুকি দেওয়া হয়। জুন থেকে দু’টি মাপকাঠিই কমিয়েছে কেন্দ্র। প্রতি কেডব্লিউএইচ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে তা কমে হচ্ছে ১০,০০০ টাকা এবং গাড়ির দামের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ৪০% থেকে কমে হচ্ছে ১৫%।
এসএমইভি-র ডিজি সোহিন্দর গিল জানান, ভারী শিল্প মন্ত্রক যে ভর্তুকি ছাঁটাই করতে পারে, ক’মাস আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। তিনি বলেন, ‘‘আচমকা ভর্তুকি হ্রাস চাহিদা কমাতে পারে। তাতে উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য প্রভাব পড়বে এই শিল্পে।’’ তাঁদের যুক্তি, দামের বিষয়ে বাজার খুব স্পর্শকাতর। পেট্রলচালিত দু’চাকার গাড়ির বেশিরভাগেরই দাম পড়ে এক লক্ষ টাকার মধ্যে। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের বৈদ্যুতিক দু’চাকা কিনতে কম ক্রেতাই আগ্রহী হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy