—প্রতীকী ছবি।
অনলাইন গেমিং-এর বাজার যত ছড়াচ্ছে, তত কাঁপুনি ধরাচ্ছে তার আড়ালে বাড়তে থাকা বেআইনি নেট বেটিং ও জুয়ার ব্যবসা। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট বলছে, ওই বেটিং ও জুয়ার হাত ধরে বাড়ছে অর্থ পাচার। এমনকি সন্ত্রাসবাদী কাজেও ব্যবহার হচ্ছে সেই তহবিল। সমস্যার সমাধান হিসেবে অবিলম্বে অনলাইন গেমিং ও জুয়া-বেটিংকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছে তারা। নথিভুক্ত করতে বলেছে আইনি গেমিং সংস্থাগুলিকে।
বস্তুত, জুয়া বা বেটিং খেলা নয়। ফলে তাতে অংশ নিতে দক্ষতা লাগে না। বেআইনি ভাবে বাজি ধরে টাকা লেনদেন হয়। রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংগঠন ‘সিকিয়োরিটি অ্যান্ড সায়েন্টেফিক টেকনিক্যাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন’ (শাস্ত্র) রিপোর্টে বলেছে, বেআইনি বেটিং ও জুয়া খেলার সংস্থাগুলিকে আড়াল থেকে টেনে বার করতেই আইনি গেমিং সংস্থার নথিভুক্তি জরুরি। কারণ, ২০২১-এর তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে দুইয়ের মধ্যে স্পষ্ট ফারাক টানা হলেও, বাস্তবে বহু বেআইনি লেনদেন চলে অনলাইন গেমিংয়ের নামে। তারা বলেছে, “এই সব বেটিং ও জুয়া সংস্থা দেশের নেট ব্যবস্থার নিরাপত্তাকে নষ্ট করছে। দেশের নিরাপত্তাকেও বিঘ্নিত করছে সেই সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলি। কারণ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেও এ ভাবে আর্থিক মদত জোগানো হচ্ছে।’’
দেশে নেট গেমিং সংস্থাগুলির সংগঠন স্কিলড অনলাইন গেমস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি অমৃত কিরণ সিংহ বলেন, “অবিলম্বে বেআইনি নেট গেমিং সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা হোক। এই ধরনের বিদেশি সংস্থাগুলি ভারতে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এদের একাংশ চিনা। বিজ্ঞাপনে সংস্থাগুলি বলছে, তাদের মাধ্যমে খেললে জিএসটি লাগে না। এতে আইন মেনে চলা ভারতীয় গেমিং ব্যবসা ধাক্কা খাচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে সিংহ জানান, আইপিএল এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলাগুলি নিয়ে বেআইনি ভাবে বেটিং করার খবর আছে। এতে প্রচুর টাকা নয়ছয় হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy