—প্রতীকী চিত্র।
দেশের পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে থাকলেও খুচরো বাজারে তার প্রভাব আদৌ কতটা পড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গত মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নামলেও নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে অতি সম্প্রতি ফের চড়তে শুরু করেছে আনাজপাতির দাম। এ বার গমের দাম মাথাচাড়া দেওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রেরও। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আনাজের বাড়তে থাকা দাম যদি ঠেকানো না যায় এবং গমের দাম বৃদ্ধির প্রভাব যদি আটা-ময়দার উপরে পড়ে, তা হলে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের উপরে প্রবল চাপ তৈরি হবে। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কী পদক্ষেপ করে, সে দিকেই এখন নজর সকলের।
দিল্লির গমকলগুলি সূত্রের খবর, সেখানে মঙ্গলবার টন প্রতি গমের দাম ছিল ২৭,৩৯০ টাকা। সোমবারের তুলনায় ১.৬% বেশি। গত আট মাসের সর্বোচ্চ। গত ছ’মাসেই গমের দাম বেড়েছে ২২%। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, উৎসবের আগে পণ্যটির চাহিদা চড়েছে সরবরাহের তুলনায় বেশি। আবার প্রায় ৪০% আমদানি শুল্কের ফলে ধাক্কা খাচ্ছে আমদানিও। এই সব মিলিয়ে পণ্যটির দাম বাড়ছে। কলকাতার বাজার সূত্রের খবর, সম্প্রতি আটার পাইকারি দাম কুইন্টাল প্রতি ৩০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২০০ টাকা। খুচরো বাজারে এখনও তার প্রভাব পড়েনি। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামগ্রিক ভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বাড়বে। কাজ বাড়বে কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের। তাদের বক্তব্য, এই বর্ধিত দামকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেদের মজুত থেকে খোলা বাজারে আরও বেশি করে গম ছাড়তে হবে খাদ্য মন্ত্রককে। গমকলগুলি যাতে কম দামে শস্য পেতে পারে তার জন্য খুলতে হবে আমদানি শুল্ক কমানোর রাস্তাও।
রোলার ফ্লাওয়ার মিলস ফেডারেশনের সভাপতি প্রমোদ কুমার এস বলেন, ‘‘উৎসবের বাজারের চাহিদা গমের দামকে বাড়াচ্ছে। তা কমাতে শুল্কহীন আমদানির অনুমতি দিক সরকার।’’ গত মাসে অবশ্য কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়া গমের আমদানি শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকের বক্তব্য, পরিস্থিতি বদলেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের অন্য একটি অংশের আবার বক্তব্য, পরিস্থিতি তেমন অনুকূলে নেই। গত ১ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী, সরকারের গুদামগুলিতে ২.৪ কোটি টন গম রয়েছে। অথচ, গত পাঁচ বছরের গড় ৩.৭৬ কোটি টন। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে কৃষকদের থেকে ৩.৪২ কোটি টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিলেও এখন পর্যন্ত ২.৬২ কোটি টন কেনা গিয়েছে। আর এল নিনোর প্রভাবে যদি শীতকালে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে তা হলে ব্যাহত হতে পারে উৎপাদন। মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সরবরাহ না বাড়লে টন প্রতি দাম ৩০,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy