ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দরও। প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও পিছু ছাড়ছে না অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা। আমেরিকার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত মাসে খুচরো বাজারে জিনিসের দাম বেড়েছে ৮.৩%, পাইকারিতে ৮.৭%। ব্রিটেন জানাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি ৯.৯%। ভারতে খুচরো বাজারে মাথা তুললেও, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ১১ মাসে কমে হয়েছে ১২.৪১%। বিশেষজ্ঞদের মতে, জুলাইয়ের বৃদ্ধির চেয়ে এই হার কম হলেও, এখনও তা রয়েছে রেকর্ডের কাছাকাছি। ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলি সুদ কমানো তো নয়ই, তা স্থির রাখার পথেও হাঁটবে না। বরং এই মাসের ঋণনীতিতে তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করা অর্থনীতির উপরে চাপ আরও বাড়বে। যে আশঙ্কার জের বুধবার পড়েছে বিশ্ব বাজারের উপরে। ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দরও।
এ দিন পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির তথ্যে জানানো হয়েছে, তৈরি পণ্য এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কমলেও এখানেও চোখ রাঙাচ্ছে খাবারের দাম।
এর আগেই মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় দ্রুতগতিতে সুদ বৃদ্ধি এবং বেশি দিন উঁচু হারে তা বেঁধে রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ বারেও জ্বালানি ও খাদ্যপণ্য বাদে মূল্যবৃদ্ধি (কোর ইনফ্লেশন) যথেষ্ট চড়া সে দেশে। যা প্রমাণ করে জিনিসের চড়া দাম শুধু এই দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তা আরও ছড়িয়েছে। ফলে এ মাসের বৈঠকে সুদ বাড়াতে পারে ফেড। তার উপরে ব্রিটেনে চড়া জ্বালানির দাম, ইউরোপে যুদ্ধ অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
ভারতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও মূল্যবৃদ্ধি আয়ত্তে না-আসা পর্যন্ত সুদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অগস্টে দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশে পৌঁছনো সেই পথ আরও প্রশস্ত করেছে। এ বারে তা বাড়তে পারে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। ইতিমধ্যে রেপো রেট (যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় আরবিআই) মোট ১৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy