প্রতীকী ছবি।
জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর পথে অন্যতম বাধা করের বোঝা। এই যুক্তিতে সেটিকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি তুলেছে সংশ্লিষ্ট শিল্প। চড়া দামের জ্বালানি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভের মুখে দূষণহীন এবং কম খরচের প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যের কথা একাধিক বার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে পেশ করা বাজেট সুপারিশে সেই কথা মনে করিয়েই দাবি পূরণের আর্জি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রি (এফআইপিআই)। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস সংস্থা, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য।
পেট্রল-ডিজ়েলের মতো প্রাকৃতিক গ্যাসেও জিএসটি বসে না। বরং একই রকম ভাবে কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর, বিভিন্ন রাজ্যে যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) ইত্যাদি চাপে। পেট্রল-ডিজ়েলের দাম আকাশছোঁয়ার পরে এই জ্বালানিতেও জিএসটি চালুর দাবি প্রবল হয় কর কমিয়ে গ্রাহকদের সুরাহা দেওয়ার তাগিদে। তবে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েন অব্যাহত। এফআইপিআই-এর বক্তব্য, এত করের বোঝায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তার উপরে ভ্যাটের হার অন্ধ্রপ্রদেশ (২৪.৫%), উত্তরপ্রদেশ (১৪.৫%), গুজরাত (১৫%), মধ্যপ্রদেশের (১৪%) মতো রাজ্যে অত্যন্ত চড়া। জিএসটি চালু হলে করের হার সমতা আসবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে গ্যাসের অবাধ ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হবে। জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে জোর দেওয়াও সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্য অর্জন করাও সহজ হবে। উৎপাদকদের বাড়তি সুবিধা কাঁচামালের উপরে মেটানো করের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) টাকা ফেরত পাওয়ার সুবিধা।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির খরচ কমাতে ও সহজলভ্য করতে আমদানি শুল্ক হ্রাসেরও সওয়াল করেছে এফআইপিআই। যুক্তি, এ দিকে নজর দেওয়া হলে দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy