বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) আসরে রাজ্যে বিনিয়োগের যে সব প্রস্তাব আসে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়ে বরাবর প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এ বারও প্রশ্ন উঠেছে বিজিবিএস শেষ হওয়ার পরেই। মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, বহু সংস্থা এখন বাংলায় লগ্নি করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনকে সফল দাবি করে তিনি জানান, উপযুক্ত পদ্ধতিতে কাজ হয়েছে বলেই ডেউচা পাঁচামিতে কাজ শুরু করতে পেরেছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের ডেউচা-পাঁচামিতে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার কথা। প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্প গড়তে ৩৩৭০ একর জমি প্রয়োজন। তার মধ্যে ১০০০ একর সরকারি জমি আছে। বাকি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ডেউচায় প্রায় ৩৩৭০ একরের উপর ওই প্রকল্পের জন্য ৯০ শতাংশের বেশি পরিবার জমি দিতে রাজি হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১৪২৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ৬৫ জনের ১৮ বছর বয়স হয়নি। ফলে তাঁরা মাসে ১০,০০০ করে টাকা পাচ্ছেন। ১৮ বছর হলেই চাকরি দেবে সরকার। মমতার কথায়, “প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বহু চাকরি হবে। ১০০ বছর বিদ্যুতের সমস্যা হবে না।” তাঁর সংযোজন, “অনেকে এখন লগ্নি করতে চাইছেন। কারণ, এখানে স্থায়িত্ব রয়েছে।”
মমতার আরও দাবি, গত সাতটি বিজিবিএস-এর থেকে পাওয়া ১৯ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে ১৩ লক্ষ কোটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকিটাও হবে। ছ’টি প্রস্তাবিত আর্থিক করিডর রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ— সব জেলাকে ছুঁয়ে যাবে। এগুলির দু’পাশে শিল্প তৈরি হবে। আরও বেশি কাজ তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্যের ১.৭২ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ৯৪টি সরকারি প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন মানুষ।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)