সঞ্জীব পুরী। ছবি: এক্স।
শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ সহজ করতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০১৪-এ ক্ষমতায় এসেই জমি অধিগ্রহণ আইনে সংশোধন করতে চেয়েছিল। একাধিক বার অধ্যাদেশ জারি করলেও বিরোধীদের প্রতিবাদে সেই কাজ এগোয়নি। শ্রম বিধি তৈরি করেছিল। চালু করতে পারেনি বিভিন্ন রাজ্যের আপত্তিতে। কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তিন আইন জারি করে। কিন্তু কৃষক আন্দোলনের চাপে ফেরাতে হয়েছে।
এই অবস্থায় তৃতীয় মোদী সরকারের কাছে শিল্পমহলের দাবি, জমি, শ্রম, বিদ্যুৎ, কৃষি এবং আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ঐকমত্য গড়তে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি করা হোক। আজ বণিকসভা সিআইআইয়ের সভাপতি সঞ্জীব পুরী দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিল্পের ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ওই সব সংস্কারের জন্য ঐকমত্য অর্জনে মঞ্চ ঘোষণার দাবি। কারণ, কিছু সংস্কার যেমন রাজ্যের আওতায় পড়ছে, তেমন অনেকগুলি রয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারেরই অধীনে। শিল্পের জন্য জমির ক্ষেত্রে পুরীর অভিমত, রাজ্যগুলিকে জমির হাতবদলের উপরে স্ট্যাম্প ডিউটি কমাতে উৎসাহিত করতে হবে। জমির ব্যাঙ্ক, শিল্প তালুক থেকে জমি পাওয়া সহজ করতে তাদের তৈরি করতে হবে অনলাইন ব্যবস্থা। নিশ্চিত করতে হবে জমির ডিজিটাল নথিও।
সিআইআই মনে করছে, চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি ৮% ছুঁতে পারে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অবশ্য ৭.২%। পুরীর দাবি, নতুন সরকার যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের সংস্কারের কাজ শেষ করতে পারে, তবে তাঁদের অনুমানই সত্যি হবে। তার উপরে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে কেন্দ্র যথেষ্ট কাজ করেছে। অর্থনীতির ভিত পোক্ত। পূর্বাভাস অনুযায়ী স্বাভাবিকের থেকে বেশি বর্ষা হলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। বছর শেষে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেরও উন্নতির সম্ভাবনা। তার সঙ্গে যদি বিশ্ব বাণিজ্যে উন্নতি দেখা যায়, তা হলে বৃদ্ধি ৮% ছুঁতেই পারে। তবে তৃতীয় দফায় মোদীরা শরিকদের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় এবং বিরোধীদের শক্তি বাড়ায় বাস্তবে আদৌ কতখানি সাহসী সংস্কার করা যাবে, তা নিয়ে সরকারের অন্দরেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
পুরী যদিও বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, কৃষি, শিল্প ও পরিষেবা— অর্থনীতির তিনটি এঞ্জিনই জোর গতিতে চলবে।’’ কেন্দ্রের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, বেসরকারি ক্ষেত্রে নতুন লগ্নির ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এখন সরকারের কাজ হল সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া। কর্মসংস্থানের সমস্যার সমাধানে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। পরিকাঠামো তৈরির পিছনে খরচ চালিয়ে যাওয়া। কর ব্যবস্থার আরও সরলীকরণ ও কর্পোরেট করের হার কমানোর চেষ্টা করা।
বণিকমহলের মতে, চলতি অর্থবর্ষে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হারও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার (৪%) মধ্যে থাকবে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বর্ষা ভাল হওয়ার সম্ভাবনাই রয়েছে। সেটা হলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়বে। ফলে খাদ্যপণ্যের দিক থেকে মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকিও কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy