এ বার অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে কোর্টে চিনা ব্যাঙ্কগুলি। —ফাইল চিত্র।
ঋণের টাকা উদ্ধার করতে এ বার অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে আদালতে গেল একাধিক চিনা ব্যাঙ্ক। চলতি বছরের শুরুতে অনিল অম্বানীর রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। ওই সংস্থাকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিল বলে দাবি চিনা ব্যাঙ্কগুলির।
অনিল অম্বানীর সংস্থার কাছ থেকে মোট ২১০ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা দাবি করেছে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়না এবং এক্সিম ব্যাঙ্ক অব চায়না। অনিল অম্বানীর সংস্থা তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল বলে দাবি চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের। ৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বলে দাবি করেছে এক্সিম ব্যাঙ্ক। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়নার দাবি, তারা ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে।
তাদের আবেদন খতিয়ে দেখছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্করাপসি কোর্ট। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ওই সংস্থার সম্পত্তি বেচে ঋণ শোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন অনিল অম্বানী। সেই প্রক্রিয়াও ঝুলে রয়েছে আদালতে। এর আগে, ১৭ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স কিনে নিতে চেয়েছিল অনিলের দাদা মুকেশ অম্বানীর রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেড। ওই টাকায় কিছুটা হলেও ঋণের বোঝা কমত অনিল অম্বানীর। কিন্তু শেষমেশ ওই চুক্তি হয়নি। এর আগে, চলতি বছরেই সুইডেনের এরিকসন সংস্থার পাওনা ৪৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে অনিলকে হাজতবাস থেকে বাঁচিয়েছিলেন মুকেশ।
আরও পড়ুন: বিলিয়নেয়ার ক্লাব থেকে ছিটকে গেলেন অনিল অম্বানী, হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় সাম্রাজ্য
তবে চিনা ব্যাঙ্ক ছাড়াও ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক থেকে অনিল অম্বানী মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্ক অব বরোদার কাছ থেকে ২ হাজার ৭০০ কোটি, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে ২ হাজার ৯০ কোটি, ম্যাডিসন পেসিফিক ট্রাস্ট থেকে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার ভিটিবি ক্যাপিটাল তাঁকে ৫১১ কোটি টাকার ঋণ দেয়। সোমবারই রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্সের তরফে ঋণদাতাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তা থেকে জানা যায়, লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক, হংকংয়ের ডয়েশ ব্যাঙ্ক, ডিবিএস ব্যাঙ্ক এবং এমিরেটস এনবিডি ব্যাঙ্কের কাছ থেকেও তারা ঋণ নিয়েছে। দেউলিয়া আইনে তাদের কাছ থেকে ৫৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা দাবি করছেন ঋণদাতারা।
আরও পড়ুন: বিরাট চমক বাংলাকে! লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী
২০০৮ সালে বিশ্বের ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিলেন অনিল অম্বানী। কিন্তু ঋণের বোঝা এবং একের পর এক সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বিলিয়নেয়ার ক্লাব থেকেও ছিটকে গিয়েছেন তিনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy