ডিজিটাল বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
দেশের ডিজিটাল বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের পাশাপাশি সংস্থা অধিগ্রহণ বা সংযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবসার আরও সহজ পরিবেশ তৈরিরও বার্তা দিলেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন সঙ্গীত বর্মা।
শুক্রবার বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে সঙ্গীতের দাবি, যে কোনও প্রতিযোগিতা চলা উচিত যোগ্যতার ভিত্তিতে। সেটা নিশ্চিত করাই কমিশনের প্রধান কাজ। কারও নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, কিছু বড় প্রযুক্তি সংস্থা একই সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী এবং বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে বাজারে একাধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তিনি বলেন, ‘‘এতে ডিজিটাল ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ডিজিটাল মঞ্চে যাতে কারও ব্যবসায়িক কর্তৃত্বের অপব্যবহার না ঘটে, তা দেখার জন্য কেন্দ্র ডিজিটাল কম্পিটিশন কমিটি গড়েছে।’’ তিনি বলেন। সার্বিক ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিপত্যের প্রায় ১২০০ অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। সঙ্গীত নাম না নিলেও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তিনি গুগ্লের কথাই বলেছেন। একচেটিয়া বাজারের সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে যাদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাটির উপরে জরিমানা চাপিয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যবসায়ী যে অনৈতিক জোট (কার্টেল) তৈরি করে, তা সুস্থ ব্যবসার পরিপন্থী বলে দাবি করে কড়া বার্তা দিয়েছেন সঙ্গীত। বাজারে প্রতিযোগিতার অন্যতম শর্ত সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি। সঙ্গীতের দাবি, সংশোধিত প্রতিযোগিতা আইন (২০২৩) কমিশনের কাজের পরিধি বাড়িয়েছে। আর তাতে ভর করেই কমিশন অধিগ্রহণ ও সংযুক্তির প্রস্তাব দ্রুত পর্যালোচনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই ধরনের ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ‘গ্রিন চ্যানেল’ আনা হয়েছে, তার মাধ্যমে মোট আর্জির প্রায় ২৫% জমা পড়ছে। এতে দ্রুত ছাড়পত্র মেলে। নিয়ম মতো ১৫০ দিনের মধ্যে তা পাওয়ার যে সময়সীমা রয়েছে, ততদিন অপেক্ষার দরকার পড়ে না। তবে এই ব্যবস্থায় আবেদনকারী সংস্থাগুলিকে তথ্যের বিষয়ে মুচলেকা (সেল্ফ ডিক্লারেশন) দিতে হয়। অর্থাৎ সেই তথ্যের দায়িত্ব সংস্থারই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy