ফাইল চিত্র।
টাটা স্টিলের ব্রিটেনের কারখানায় কার্বন নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা তৈরি করতে বিপুল অর্থ লাগবে। সেই খাতে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি না-পেলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। ব্রিটেনের সাউথ ওয়েলসের কারখানায় কর্মী সংখ্যা প্রায় আট হাজার।
গোটা বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত এমন সূত্রদের উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমের খবর, দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে ওই কারখানার দু’টি ব্লাস্ট ফার্নেস এবং মূল ইস্পাত তৈরি বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ‘আর্ক ফার্নেস’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে টাটাদের। এগুলি ‘স্ক্র্যাপ’ ইস্পাত পুনর্ব্যবহার করবে। তাতে ব্লাস্ট ফার্নেসের চেয়ে কার্বন নির্গমন কম হবে। সেই নতুন পরিকাঠামো গড়তে টাটা স্টিলের খরচ হবে প্রায় ৩০০ কোটি পাউন্ড। তার মধ্যে ১৫০ কোটি পাউন্ড ভর্তুকি চেয়েছে তারা।
চন্দ্রশেখরনের দাবি, দূষণহীন কারখানার পথে অগোনোই তাঁদের লক্ষ্য। তাঁর কথায়, ‘‘কিন্তু সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পলে তবেই তা সম্ভব। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে কথা বলছি। এক বছরের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হওয়া জরুরি। না হলে কারখানা বন্ধের কথাই ভাবতে হবে।’’
এই খবরে উদ্বিগ্ন কর্মী-ইউনিয়ন।তারা সরকারকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। বিষয়টি যে তাদের কাছে জরুরি, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটেনও। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতিতে ইস্পাত শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টাটা স্টিল গুরুত্বপূর্ণ ইস্পাত সংস্থা এবং দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।’’
উল্লেখ্য, ইউরোপের ইস্পাত শিল্পে ভারতীয় সংস্থাটি অগ্রণী। ব্রিটেন ছাড়াও নেদারল্যান্ডে তারা ইস্পাত তৈরি করে। এ ছাড়া ইউরোপে ছডি়য়ে রয়েছে আরও কারখানা। গত মাসে টাটা স্টিল বলেছিল ২০৫০ সালে দূষণহীন ইস্পাত উৎপাদন ব্যবস্থা গড়া তাদের লক্ষ্য। তার আগে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৩০% হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সংস্থাটির। তার বেশিরভাগ কাজই হবে সাউথ ওয়েলসে সংস্থার বৃহত্তম কারখানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy