—ছবি সংগৃহীত।
লকডাউনের সময়ের অনাদায়ি ইউনিট যোগ করে গত জুনে যখন বিদ্যুতের বিল পাঠিয়েছিল সিইএসসি, তখন তার ‘অস্বাভাবিক’ অঙ্ক দেখে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে গ্রাহকদের বড় অংশের মধ্যে। বিক্ষোভ দেখায় তাঁদের সংগঠনগুলি। হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকারও। তার জেরে ওই বিল আদায় সাময়িক স্থগিত রেখে পরে কিস্তিতে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সিইএসসি-র কর্তারা জানালেন, নভেম্বরের বিল থেকে (এখন বিলি হচ্ছে) ওই বকেয়া অঙ্ক ১০টি কিস্তিতে নেওয়া হবে। বিলে তার হিসেবও সবিস্তার দেওয়া থাকবে।
এ দিন সংস্থাটির এমডি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভিপি (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ জানান, মিটার রিডিং না-নিতে পারায় মার্চ-জুনে বিভিন্ন মাসের বিল বাকি পড়েছিল। এখন তা-ই কিস্তিতে নেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, শীতে বিদ্যুৎ ব্যবহার কম হওয়ায় গ্রাহকের বিলের বোঝা কম হবে।
লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং নেওয়া যায়নি। সেই সময়ে তার আগের ছ’মাসের বিলের গড় অঙ্ক ধরে বিল পাঠিয়েছিল সিইএসসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় জুনের বিলের সঙ্গে অনাদায়ি ইউনিট জুড়তেই। অভিযোগ ওঠে, হিসেবের পদ্ধতিই গোলমেলে। অতিমারির জেরে আর্থিক সঙ্কটে পড়া বহু গ্রাহকের মাথায় হাত পড়ে। বিক্ষোভ এতটাই তীব্র হয় যে, বিল আদায় সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন খোদ সংস্থার চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েন্কা।
আরও পড়ুন: এগ্রি গোল্ড দুর্নীতিতে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র
গ্রাহক সংগঠনগুলির প্রশ্ন ছিল, বিলের হিসেবেই যখন ‘সমস্যা’ রয়েছে, তখন সেই টাকা পরে নিয়ে কোন সুরাহা দিচ্ছে সিইএসসি? সংস্থার পাল্টা দাবি ছিল, অনাদায়ি ইউনিট যোগ হওয়াতেই বিলের অঙ্ক বড় দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই দখল করবেন, দাবি শুভেন্দুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy