পরিত্যক্ত কয়লা খনি থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা তোলা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় কয়লাসচিব অমৃতলাল মিনা জানান, ওই সব খনি বেসরকারি উদ্যোগপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ক্রেতা পাওয়া না গেলে কিছু বুজিয়ে দেওয়া হবে। আর যেগুলিতে সম্ভব, গড়া হবে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ প্রকল্প।
এমজাংশন আয়োজিত কয়লাকে কার্বনমুক্ত করা নিয়ে এক আলোচনাসভায় এ দিন হাজির ছিলেন মিনা। সেখানেই তাঁর বার্তা, বেআইনি উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়টি কেন্দ্র গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে সমীক্ষাও চালানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে একাধিক পরিকল্পনায় অনুমোদনের কাজ শেষ। ভোট শেষ হলেই সেগুলি বাস্তবায়িত করতে কাজ শুরু করবে সরকার।
মিনা জানান, দেশে পরিত্যক্ত কয়লা খনি ২২৫টি। তাতে এখনও অনেক কয়লা মজুত থাকলেও, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার পক্ষে লাভজনক ভাবে তোলা সম্ভব নয়। তাই কয়লার প্রয়োজন রয়েছে এমন সংস্থা ওই সব খনি হাতে নিতে পারে। মিনা বলেন, “প্রথমে সেই চেষ্টাই করব। ক্রেতা না পাওয়া গেলে অনেকগুলিকে পুরোপুরি বুজিয়ে দেওয়া হবে। সে জন্য ৬৯টি খনি চিহ্নিতও হয়েছে। বাকিগুলিতে কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদন, সৌর পার্ক-সহ অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প তৈরি করা হবে। গড়া হবে পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পও।’’
এ দিকে, কয়লা বিপণনের জন্য দেশে কোল ট্রেডিং এক্সচেঞ্জ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন মিনা। শেয়ার বাজারের মতোই সেগুলি মারফত কেনাবেচা হবে কয়লা। মিনা জানান, এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য কেন্দ্র লোকসভা নির্বাচনের পরে লাইসেন্স মঞ্জুর শুরু করবে। এমজাংশনের এমডি-সিইও বিনয় বর্মার দাবি, তাঁরা এমন এক্সচেঞ্জ চালু করতে চান। এমজাংশনের মাধ্যমে বর্তমানে কয়লা নিলাম হয়। বর্মা জানান, খনির থেকে সরাসরি কয়লা পেতে অনুমোদনপত্রের নিলামের ব্যবস্থা চালু করছেন তাঁরা। অন্য দিকে কোল ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর বি বীরা রেড্ডি জানান, এই অর্থবর্ষে রেকর্ড কয়লা উৎপাদন করেছে সংস্থা। ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৭৩.৫ কোটি টন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)