—ফাইল চিত্র।
দেশের পাটচাষি ও চটকলগুলির স্বার্থে বছরে প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকার চটের বস্তা কেনে কেন্দ্র। ধান ও গম রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় ওই বস্তা। কিন্তু অভিযোগ, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নেপাল, বাংলাদেশ থেকে সস্তায় পাট কিনে বস্তা বানিয়ে সরকারকে বিক্রি করছেন। এই ধরনের কার্যকলাপ ঠেকাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। সম্প্রতি কাঁচ পাট ও চটের বস্তা-সহ অন্যান্য পাটজাত পণ্য আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে জুট কমিশনারের দফতরে নতুন করে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, আমদানির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে এবং কড়া নজরদারি রাখতেই এই পদক্ষেপ। খাদ্যশস্য রাখার জন্য যাতে আমদানি করা চটের বস্তা ব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বস্ত্র মন্ত্রক।
আইন অনুযায়ী, ধান, গমের মতো খাদ্যশস্য রাখার জন্য ১০০ ভাগ চটের বস্তা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি চিনির ক্ষেত্রেও ২০ শতাংশ চটের বস্তা ব্যবহার করার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, যে চটের বস্তা ব্যবহার হবে, তার পাট দেশের কৃষকদের কাছ থেকেই কিনতে হবে। বস্তাও তৈরি হতে হবে এখানকার চটকলগুলিতে। পাট চাষি ও চটকল শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই আইন চালু রয়েছে। আর এই খাতে কেন্দ্র প্রতি বছর শুধু বস্তা কিনতেই প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করে।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি মহলে অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নেপাল, বাংলাদেশ থেকে সস্তায় কাঁচা পাট আমদানি করে এখানে বস্তা বানিয়ে সরকারকে সরবরাহ করছেন। অনেক সময়ে পাটের তৈরি কাপড় আমদানি করেও তা দিয়ে বস্তা বানিয়ে সরকারকে সরবরাহ করা হয়। আবার প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ব্যবহার করা বস্তাও কিনে এনে তা বিক্রি করা হয় বলে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ এসেছে। সরকারি কর্তাদের বক্তব্য, এর ফলে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষ কৃষক-শ্রমিক পরোক্ষ ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে কথা মাথায় রেখে পাট আমদানির ক্ষেত্রটিকে নজরদারির আওতায় আনতে চায় সরকার। প্রতি মাসে আমদানি সংক্রান্ত রিপোর্ট জুট কমিশনারের অফিসে জমা দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy