ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের আনা নতুন চারটি শ্রমবিধি চালু হবে রাজ্যগুলির অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হলেই, জানালেন শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব। মঙ্গলবার এক সভায় তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি ওই বিধিগুলিতে নিশ্চিত করা হয়েছে কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা, কাজের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকির নিরিখে নিরাপত্তা এবং কল্যাণের বিষয়গুলি। যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কেন্দ্র নিয়ম এনেছে তাদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই। বহু ক্ষেত্রে কর্মীদের আপত্তি গ্রাহ্য করা হয়নি। সংস্থায় ছাঁটাই-সহ অনেক নিয়ম তাঁদের স্বার্থ বিরোধী। রাজ্যগুলির একাংশও আপত্তি করেছে। ফলে দেশের সর্বত্র এত সহজে শ্রমবিধি চালু হবে না বলেই দাবি তাদের।
কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত শ্রম। কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, তাই যে সব রাজ্য শ্রমবিধি অনুমোদন করবে, একমাত্র সেখানেই তা চালু করা যাবে। শুধু রাজ্যে অবস্থিত কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় তা কার্যকর করতে আলাদা ভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগবে না।
সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, “শ্রমবিধিগুলি চালু করতে কেন্দ্র নিয়ম (রুল) তৈরি করে সব পক্ষের মতামত নিয়েছে। তবে চূড়ান্ত করেনি। শ্রম বিষয়টি যৌথ তালিকায় থাকায় কোনও রাজ্য ইচ্ছা করলে রুল বদলাতেও পারে।’’ অনেক জায়গাতেই বিধি চালু হওয়া মুশকিল, মনে করেন ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ। তিনি বলেন, “শ্রমবিধি তৈরির আগে কেন্দ্র আলোচনা করেনি রাজ্য এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে। বেশ কিছু সিদ্ধান্তে তাদের অনেকের আপত্তি রয়েছে।’’ সাত বছর ধরে ভারতীয় শ্রম সম্মেলন না-হওয়ার ফলে কর্মী-শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এই দিনই যাদবের দাবি, পিএফ পেনশনের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের জন্য আর একটি পেনশন চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সরকার। অনেক শিল্পেই বেতন সংশোধন হত বেতন পর্ষদের সুপারিশ অনুযায়ী। সেই সব পর্ষদও শীঘ্রই গঠন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy