প্রতীকী ছবি।
রাজকোষ ভরতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ যে মোদী সরকারের পাখির চোখ, বার বার তা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই লক্ষ্যেই এ বার রাষ্ট্রীয় কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজ়ার্স (আরসিএফএল) এবং বিইএমএল লিমিটেডে সরকারের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির জন্য ঝাঁপাচ্ছে কেন্দ্র।
চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ খাতে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের যে লক্ষ্য স্থির করেছে সরকার, তা পূরণের পথে বহু দূর পাড়ি দেওয়া বাকি। সেই গন্তব্যে পৌঁছনো যাক বা না-যাক কেন্দ্র যে হাল ছাড়ছে না, সেটা স্পষ্ট করে আরসিএফএলের ১০% অংশীদারি বিক্রির তোড়জোড় শুরু করল তারা। কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালন দফতর (দীপম) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়াটি পরিচালনায় আগ্রহী মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার ও আইনি উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য দরপত্র চাইল। তা জমার সময়সীমা যথাক্রমে এ মাসের ২৮ এবং ২৯ তারিখ। রবিবার বিইএমএলে কেন্দ্রের হাতে থাকা ২৬% অংশীদারি বিক্রির প্রাথমিক আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা, রেল, বিদ্যুৎ, খনন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিএএমএল। সরকারের হাতে ৫৪.০৩% অংশীদারি। তারই ২৬ শতাংশের কৌশলগত বিলগ্নিকরণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্রেতা পাবেন সংস্থার রাশও। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম (৯৭৪.২৫ টাকা) ধরলে, এই হাতবদল থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা রাজকোষে ঢুকতে পারে বলে আশা কেন্দ্রের। রবিবার টুইট করে বিলগ্নকরণ প্রক্রিয়ায় সরকারের তরফে সম্ভাব্য ক্রেতার ইচ্ছাপত্র চাওয়ার কথা জানিয়েছেন দীপমের সেক্রেটারি তুহিন কান্ত পান্ডে। আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে ১ মার্চের মধ্যে।
আরসিএফএলে অবশ্য সরকারের হাতে ৭৫% অংশীদারি। ১০% কী ভাবে, কখন বেচলে সব থেকে বেশি লাভ হবে, সেটাই বাতলাবে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার। শুক্রবার শেয়ারের বাজার বন্ধকালীন দাম (৫৪ টাকা) ধরলে, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy