জিএসটি চালুর সময়ে ঠিক হয়, দামি গাড়ির মতো বিলাসবহুল পণ্য, তামাক ও নরম পানীয়ের মতো ক্ষতিকারক সামগ্রীতে সেস বসিয়ে তহবিল তৈরি হবে।
একমাত্র উত্তর-পূর্বের পাঁচটি রাজ্যে সমস্যা নেই। বাকি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। জিএসটি চালুর পরে বছরে অন্তত ১৪% হারে রাজস্ব আয় বাড়বে বলেই ধরেছিলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। কিন্তু তা না হওয়ায় প্রতিশ্রুতি মেনে কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। আর তার ধাক্কাতে এ বার সে জন্য তৈরি তহবিলে টান পড়েছে। অর্থ মন্ত্রকের আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো টাকাই হয়তো তহবিলে থাকবে না।
জিএসটি চালুর সময়ে ঠিক হয়, দামি গাড়ির মতো বিলাসবহুল পণ্য, তামাক ও নরম পানীয়ের মতো ক্ষতিকারক সামগ্রীতে সেস বসিয়ে তহবিল তৈরি হবে। এ দিকে গাড়ি শিল্পের সঙ্কটের জেরে তাতে জিএসটি কমানোর দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জিএসটি কর্তারা মনে করছেন, গাড়ির উপরে জিএসটি কমার আশা খুবই কম। বরং সেস বাড়ানো হতে পারে। কারণ প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, গাড়িতে জিএসটি কমিয়ে ১৮% করা হলে বছরে ৫০,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে।
২০ সেপ্টেম্বর গোয়ায় বৈঠকে বসবে জিএসটি পরিষদ। তার আগে অধিকাংশ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীই গাড়িতে কর কমানোর পক্ষে নন। শিল্পের দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাব ছিল, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা কী বলছেন, তা শোনা দরকার। কিন্তু তাঁদের অনেকের মতে, অর্থনীতিতে ঝিমুনি এসেছে। সব পণ্যেরই বিক্রি কমেছে। মানুষ খরচ করতে চাইছে না বা তার টাকা নেই। জিএসটি কমলেই গাড়ি বিক্রি বাড়বে না। উল্টে রাজ্যের আয় কমবে। এমনিতেই অগস্টে জিএসটি বাবদ আয় বেড়েছে মাত্র ৫%। আর এপ্রিল থেকে অগস্টে আয় ২০ শতাংশের বেশি কমেছে।
কর-কিস্সা
• জিএসটি চালুর পরে রাজ্যের আয় ১৪%
হারে না বাড়লে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় কেন্দ্রকে
• উত্তর-পূর্বের ৫টি রাজ্য ছাড়া বাদবাকি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আয় ওই হারে বাড়ছে না
• এই অর্থবর্ষে সেস বাবদ ১ লক্ষ কোটি আয়ের আশা
• অথচ ক্ষতিপূরণ ১.৩ লক্ষ কোটিতে পৌঁছতে পারে
• গাড়িতে জিএসটি কমিয়ে ১৮% করলে আশঙ্কা বছরে ৫০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির
• বরং ক্ষতিপূরণের টাকা জোগাড়ে দামি গাড়ি-সহ বিলাসবহুল পণ্য ও তামাক, নরম পানীয়ের মতো ক্ষতিকারক পণ্যে বাড়তে পারে সেস
এই পরিস্থিতিতে কিছু বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যের উপরে সেস বাড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না জিএসটি কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, বাজেটের অনুমান ছিল, চলতি অর্থ বছরে ক্ষতিপূরণ তহবিলের জন্য সেস বাবদ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে। কিন্তু প্রথম চার মাসে ৪৫,০০০ কোটির বেশি ক্ষতিপূরণ মেটাতে হয়েছে। ফলে সারা বছরে প্রায় ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যে কারণে ক্ষতিপূরণ জোগানোর তহবিল ভরতে বাড়তি সেস না বসিয়ে উপায় থাকছে না বলে তাঁদের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy