Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Economy

আরও ধারের পথে কেন্দ্র, রইল দুই প্রশ্ন

অর্থমন্ত্রী বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি ১০% হারে বাড়বে বলে আঁক কষেছিলেন। তা মিলবে না।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০৩:০৬
Share: Save:

রাজকোষ ঘাটতি লাগামছাড়া হতে চলেছে। সেই ইঙ্গিত দিয়ে মোদী সরকার করোনা-সঙ্কটের মোকাবিলায় আরও ধার করার কথা ঘোষণা করল। বাজেটে কেন্দ্র বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে ধার করতে হবে ৭.৮০ লক্ষ কোটি টাকা। আজ অর্থ মন্ত্রক জানাল, ১২ লক্ষ কোটি ঋণ নেওয়ার কথা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৫% লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেকটাই বাড়বে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের। কেন্দ্র জানিয়েছে, অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ৬ লক্ষ কোটি ধার নেওয়া হবে।

তার পরেই উঠেছে দু’টি প্রশ্ন। এক, বাড়তি ৪.২ লক্ষ কোটি ধার করে কি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ত্রাণের সংস্থান করতে পারবে কেন্দ্র? নাকি লকডাউনে কমে যাওয়া রাজস্ব ও করোনা যোঝার বাড়তি খরচ সামলাতেই তা ফুরিয়ে যাবে? দুই, বাড়তি ঋণ জোগাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কি টাকা ছাপাবে? তারা যদি টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রের বন্ড না-কেনে, তা হলে তার সুদ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য ও সংস্থাগুলিকেও বেশি সুদে ধার নিতে হবে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নোট ছাপানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। কিন্তু বাড়তি ধারের সবটা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে খরচ করা মুশকিল হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। কারণ, রাজস্ব ক্ষতি সামলাতে অনেকটা যাবে। আজ ব্লগে টাকা ছাপানো ও রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে মেপে পা ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।

আশঙ্কার ছবি

মুডি’জ়ের পূর্বাভাস

• চলতি অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে শূন্যে।

• রাজকোষ ঘাটতি ছুঁতে পারে ৫.৫%, লক্ষ্য ৩.৫%।

• সরকারের ধারের অনুপাত আগামী ক’বছরে বেড়ে হতে পারে জিডিপি-র ৮১%। কারণ, বৃদ্ধির হার কমছে, আয় উধাও, অথচ করোনা যুঝতে ত্রাণ দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

নমুরা ও গোল্ডম্যান স্যাক্সের ইঙ্গিত

• করোনার জেরে জিডিপি সঙ্কুচিত হতে পারে ০.৪% হারে।

• দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচনের হার দাঁড়াতে পারে ২০%।

সিআইআইয়ের দাবি

• গরিব মানুষ, ছোট-মাঝারি শিল্পের এখনই সাহায্য চাই।

• অবিলম্বে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণ দেওয়া হোক।

• বেতন দিতে ও ছাঁটাই আটকাতে দৈনন্দিন ব্যবসা চালাতে সংস্থাগুলিকে মূলধন জোগাক ব্যাঙ্কগুলি। থাকুক সরকারি গ্যারান্টি। সুদ হোক ৪%-৫%।

অর্থমন্ত্রী বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি ১০% হারে বাড়বে বলে আঁক কষেছিলেন। তা মিলবে না। রাজস্ব ও বিলগ্নিকরণ থেকে আয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া মুশকিল হবে। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, লকডাউনে রাজস্ব আয়ে ক্ষতি হয়েছে। বাড়তি ধার ছাড়া উপায় নেই। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, এতে খরচ ছাঁটতে হবে না। কেয়ার রেটিংসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনভিসের মতে, ঘাটতি ৫.৫% হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Economy Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy