প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া কর মামলায় জেতার পর থেকেই বিদেশে ভারতের সম্পত্তি বেচে প্রাপ্য সংগ্রহের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে কেয়ার্ন এনার্জি। সূত্রের খবর, ব্রিটিশ সংস্থাটির এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ আটকাতে বিদেশে তাদের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি বলা হয়েছে প্রয়োজনে সেই সব দেশের অন্যান্য ব্যাঙ্কে তাদের বিদেশি মুদ্রা অ্যাকাউন্ট (নস্ত্র অ্যাকাউন্ট) থেকে টাকা তোলার কথাও। যাতে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
কেয়ার্ন এনার্জি ভারতের সম্পত্তি কেয়ার্ন ইন্ডিয়ায় হস্তান্তর করে সেটিকে শেয়ার বাজারে (বিএসই) নথিভুক্ত করায় ১০,২৪৭ কোটি টাকা বকেয়া কর চেয়েছিল কেন্দ্র। যার একাংশ আদায়ে আয়কর দফতর পরে বেদান্তে (যারা কেয়ার্ন ইন্ডিয়াকে কিনেছে) কেয়ার্ন এনার্জির অংশীদারি বেচে দেয়, ডিভিডেন্ড বাজেয়াপ্ত করে, কর ফেরতের টাকা আটকায়। সালিশি আদালত তার ক্ষতিপূরণ হিসেবেই কেয়ার্নকে ১২০ কোটি ডলার (৮,৮০০ কোটি টাকার বেশি) ফেরাক কেন্দ্র। খরচ এবং সুদ মিলিয়ে আরও বেশি, প্রায় ১২,৬০০ কোটি টাকা।
এই নির্দেশ মেলার পরেই কেন্দ্র টাকা না-মেটালে বিদেশে ভারতের সম্পত্তি হাতে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে কেয়ার্ন। ইতিমধ্যেই সে জন্য সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে। যার মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বা ব্যাঙ্কের সম্পদ, প্লেন, স্থাবর সম্পত্তি ইত্যাদি। ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, কানাডার মতো বিভিন্ন দেশে মামলার রায়ের মান্যতা চেয়ে আদালতেও গিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র জানাচ্ছে, বিশেষ করে আমেরিকা এবং ব্রিটেনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা সমস্যায় পড়তে পারে বলে ধারণা। সে কারণেই তা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা হলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে চায় কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্রের অবশ্য খবর, সতর্কতা হিসেবে নস্ত্র অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা ব্যাঙ্কগুলিকে তুলে নিতেও বলেছে অর্থ মন্ত্রক। তবে এর ফলে যাতে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ না-হয়, তার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত টাকা রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নস্ত্র অ্যাকাউন্ট থেকেই মূলত আমদানি রফতানি বা বিদেশে বিভিন্ন খরচ মেটানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মনে করা হয়েছিল কেয়ার্ন মামলার রায় বেরোনোর পরে বকেয়া করের বিষয়ে কোনও সমাধানের পথে এগোনো যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এই সম্পর্ক আরও তিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা। যে কারণে আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy