এক দিকে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সমস্যার জেরে বাজার খারাপ। তার উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত হুমকি অন্যান্য দেশের মতো ভারতের রফতানি শিল্পকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে রফতানিকারীদের জন্য বিশেষ উৎসাহ প্রকল্প চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আগামী কাল বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ঠিক হয়েছে। তবে এই শিল্পের সংগঠন ফিয়ো জানিয়েছে, তাদের সাহায্য করতে বাজেটে ঘোষিত ২২৫০ কোটি টাকার যে এক্সপোর্ট প্রোমোশন মিশন তহবিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, উৎসাহ প্রকল্পগুলি তারই অঙ্গ হবে। তার বাইরে কিছু নয়।
ভারত থেকে রফতানি (মূল্যের হিসাবে) গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি টানা কমেছে। নভেম্বরে রফতানি ২০২৩-এর ওই সময়ের থেকে ১৬৪ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৩২১১ কোটি। ডিসেম্বরে বিদেশে গিয়েছে ৩৮০১ কোটি ডলারের পণ্য (৩৮ কোটি
কম)। জানুয়ারিতেও তা ১২৯ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৩৬৪৩ কোটি।
বাজেটে রফতানির সাহায্যে তহবিলের কথা ঘোষণা করা হলেও কী খাতে ওই অর্থ খরচ করা হবে, তা ঠিক হয়নি। ফিয়ো-র ডিজি অজয়
সহায় বলেন, ‘‘খাতগুলি দ্রুত ঠিক করা
জরুরি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘রফতানিকে উৎসাহ দিতে তিনটি প্রকল্প দরকার। প্রথমত, বিদেশি রফতানিকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পণ্যের দাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতের থেকে বিদেশি রফতানি সংস্থাগুলি অনেক কম সুদে ঋণ পায়। তাই দেশের রফতানি পণ্য তৈরির সংস্থাগুলিকেও ঋণের সুদে কমপক্ষে ৩% ভর্তুকি দেওয়া হোক। বিদেশে ভারতীয় পণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সেখানে পণ্য পরীক্ষা করাতে হলে তার খরচের একাংশ দিক সরকার।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)