প্রতীকী চিত্র
লকডাউন শিথিলের পর থেকে দেখা যাচ্ছে চাহিদা বাড়ার লক্ষণ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে জিএসটি সংগ্রহ। আর অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করে চলেছে মোদী সরকার। এ বার সেই দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মার্চে জিএসটি সংগ্রহ নতুন রেকর্ড গড়ল। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের সতর্কবার্তা, করোনার সংক্রমণ যে ভাবে ফের মাথা তুলছে, তাতে স্থানীয় স্তরের লকডাউন কিংবা বিভিন্ন রকম কড়াকড়িও যদি বাড়াতে হয়, তা হলেই জোগান-চাহিদার ছন্দপতন হতে পারে। ফলে সে দিকে কড়া নজর রাখতে হবে সরকারকে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, মার্চে জিএসটি সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১,২৩,৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য জিএসটির অঙ্ক যথাক্রমে ২২,৯৭৩ কোটি এবং ২৯,৩২৯ কোটি। সংযুক্ত জিএসটি ৬২,৮৪২ কোটি এবং সেস ৮৭৫৭ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে ৯৭,৫৯০ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল। এ বারের সংগ্রহ ২৭% বেশি। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও কর সংগ্রহ ২২% বেড়ে ৪৩৮৬.৭৯ কোটি টাকা হয়েছে। এ দিন অর্থ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘এই নিয়ে টানা ছ’মাস জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে থাকল। অতিমারি পরবর্তী সময়ে যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, কর সংগ্রহের হারের এই বৃদ্ধিতেই তা পরিষ্কার।’’ তাদের আরও দাবি, ভুয়ো বিল বন্ধ করার পাশাপাশি, জিএসটি, আয়কর এবং আমদানি শুল্ক দফতরের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও তথ্য বিশ্লেষণের ফলে জিএসটি ফাঁকি অনেকটাই কমানো গিয়েছে।
এর পাশাপাশি, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির জন্য এ দিন ৪৫,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। যার অর্থ, সব মিলিয়ে সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ৮.২% বেশি মঞ্জুর করল তারা। ৫,৪৯,৯৫৯ কোটির জায়গায় ৫,৯৪,৯৯৬ কোটি। আর অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে মূলধনী খরচের জন্য ২৭টি রাজ্যকে ১১,৮৩০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা খরচ সংক্রান্ত দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy