জিএসটি নথিভুক্তি আরও দ্রুত ও ঝক্কিহীন করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি)। এ জন্য তারা নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সহজ করেছে। নির্দেশ দিয়েছে, নথিভুক্তির আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে গিয়ে যেন কর অফিসারেরা অতিরিক্ত নথি পরীক্ষা করতে না চান।
জিএসটি সার্টিফিকেট মঞ্জুরের প্রক্রিয়া সংশোধন করে নতুন নির্দেশ জারি করেছে সিবিআইসি। তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পরে ৭ দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসার ক্ষেত্রে সময় ৩০ দিন। আধার যাচাই করলেই হবে।
সিবিআইসি-র দাবি, জিএসটি নথিভুক্তির সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে নানা ভাবে হয়রান হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বহু ব্যবসায়ী। জানিয়েছেন, অফিসারেরা এমন সব ব্যাখ্যা অথবা নথি চাইছেন, যা সংশ্লিষ্ট কর পর্ষদের অনুমোদিত নয়। এই প্রেক্ষিতেই পর্ষদ প্রয়োজনীয় নথির তালিকা দিয়ে জানিয়েছে, সেগুলি নেট থেকেই দেখে নিতে পারবেন অফিসারেরা। মূল (অরিজিনাল) কপি যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। যেমন, ব্যবসার স্থানের মালিকানা প্রমাণের জন্য পুরসভায় জমা দেওয়া করের রসিদ, জমি সংক্রান্ত পুরসভার নথির কপি, জমির মালিকের জমা দেওয়া বিদ্যুতের বিল অথবা জলের বিলের মতো সরকারি নথির মধ্যে যে কোনও একটি অনলাইন আবেদনপত্রের সঙ্গে আপলোড করলেই হবে। ব্যবসার জায়গা ভাড়ায় নেওয়া হলে ভাড়ার রসিদ, অংশীদারি ব্যবসায় পার্টনারশিপের দলিলের কপি দিলেই চলবে। এর বাইরে অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)