Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

শামুক-গতি চিনি শিল্পের ঋণ প্রকল্পে, ফাঁস সেই লাল ফিতের!

প্রকল্পটি কার্যকর করার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রকের। লক্ষ্য, আখচাষিদের বকেয়া পাওনা মেটাতে চিনিকলগুলির হাতে নগদ জোগানো ও উদ্বৃত্ত চিনি ইথানল তৈরির কাজে লাগিয়ে তার মজুত কমানো।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:১০
Share: Save:

ফের লাল ফিতের ফাঁসে আটকে অকারণে সময় নষ্টের অভিযোগ উঠল। তা-ও আবার খোদ কেন্দ্রের আনা ঋণ প্রকল্পেই।

চিনিকল মালিকেরা যাতে ইথানল তৈরির কারখানা গড়তে পারেন, সে জন্য দু’দফায় মোট ১৫,০০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ প্রকল্প এনেছিল কেন্দ্র। সুবিধা হিসেবে তাতে সুদে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিযোগ, প্রথম দফায় ৪,৪০০ কোটি ঋণের সুবিধা আনার পরে ১৭ মাস গড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ১০,৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণার পরেও পেরিয়েছে মাস আটেক। অথচ সরকারি সূত্র বলছে, গোটা প্রকল্পটির আওতায় ঋণ বণ্টন হয়েছে মাত্র ৮০০ কোটির। আর এই ঢিমে গতির জন্য শিল্প মহল কাঠগড়ায় তুলছে কেন্দ্রকেই। অভিযোগ তুলেছে, লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ঋণ মঞ্জুর প্রক্রিয়ায় অযথা সময় নষ্ট হওয়ার।

প্রকল্পটি কার্যকর করার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রকের। লক্ষ্য, আখচাষিদের বকেয়া পাওনা মেটাতে চিনিকলগুলির হাতে নগদ জোগানো ও উদ্বৃত্ত চিনি ইথানল তৈরির কাজে লাগিয়ে তার মজুত কমানো। কিন্তু সরকারি হিসেবে ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিভিন্ন চিনিকলের এখনও পর্যন্ত পাওয়া ঋণ, প্রকল্পের জন্য ঘোষিত ঋণের মাত্র ৫-৬ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ঋণ দেওয়ার আগে খাদ্য মন্ত্রক দেখছে যারা সরকারি চিনি উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছে, তারা তা শোধ করেছে কি না কিংবা গণবণ্টন ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া চিনি সরবরাহ করেছে কি না। কিন্তু শিল্প মহলের অভিযোগ, ঋণ মঞ্জুর করার জন্য মন্ত্রক প্রথম ধাপে যোগ্য সংস্থা বাছাই করতেই অনেকটা সময় নষ্ট করছে। তাঁদের মতে, যোগ্যতা খতিয়ে দেখে ঋণ মঞ্জুর ও বিলি করা উচিত ব্যাঙ্কের, মন্ত্রকের নয়।

শিল্প কর্তাদের দাবি, ‘‘এই পদ্ধতিতে প্রকল্পটি ঠিক মতো চালুই হতে পারনি। ...২০১৮ সালের জুনে এটি আনার পরে মন্ত্রক এখনও আবেদন খতিয়ে দেখছে। এই গতি থাকলে চিনিকলগুলি হয়তো কোনও সুবিধা পাবে না। কারণ এমনিতেই ইথানল কারখানা তৈরি হতে অন্তত ১৮ মাস লাগেই।’’ তাঁদের আক্ষেপ, এই কারণেই ভর্তুকির সুদে ঋণের সুবিধা ও দেশে ইথানল তৈরির জন্য পর্যাপ্ত চিনি থাকলেও প্রকল্পটি শামুক গতিতে চলছে। আখেরে লাভ হচ্ছে না শিল্পের বা আখচাষিদের। পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি ভাবে ঠিক করে দেওয়ার দামের ভিত্তিতে এ বছরে এখনও পর্যন্ত চাষিদের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৯,০০০ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২০১৯ সালে সহজে ব্যবসার মাপকাঠিতেও ভারতে লাল ফিতের ফাঁস কাটানোয় তেমন উন্নতি না হওয়ার ছবিই স্পষ্ট হয়েছে। অথচ দেউলিয়া আইনে সহজে ব্যবসা গোটানো বা পুনরুজ্জীবন সহজ হওয়ায় দেশ ১৪ ধাপ এগিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Sugar Mills Loan Scheme Ethanol Factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy