প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সঙ্কটে অনেক দিন ধরেই ধুঁকছে দেশের টেলিকম শিল্প। আর সম্প্রতি থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। এই অবস্থায় শিল্পের দাবি মেনে অবশেষে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। উদ্যোগী হল এই ক্ষেত্রকে সঙ্কট থেকে বার করতে। সংস্থাগুলি তাদের বকেয়া যাতে ২০ বছর ধরে কিস্তিতে মেটাতে পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল তারা। কেন্দ্রের যুক্তি, বকেয়ার বোঝায় কোনও সংস্থা দেউলিয়া হয়ে গেলে বড়সড় ধাক্কা খাবে টেলিকম শিল্প।
এরই মধ্যে সোমবারই নিজেদের হিসেব অনুযায়ী স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি-র অবশিষ্ট বকেয়া মিটিয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়া।
টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেব মতো টেলি সংস্থাগুলিকে তিন মাসের মধ্যে সুদ ও জরিমানা-সহ বকেয়া মেটাতে অক্টোবরে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সংস্থাগুলি তা না-মেটানোয় ও ডট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ায় উভয়পক্ষকেই তীব্র ভর্ৎসনা করে কারণ দর্শাতে বলে শীর্ষ আদালত। নির্দেশ দেয় বকেয়া মেটাতেও। মঙ্গলবার সেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সতর্কতা মেনে এখন সীমিত সংখ্যক মামলা শুনছে আদালত। ফলে মঙ্গলবার সেই শুনানি হচ্ছে না।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল সংস্থাগুলিকে ২০ বছর ধরে কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানান। বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চের কাছে তাঁর আর্জি, বিষয়টি দ্রুত শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হোক। সংস্থাগুলি যে নিজস্ব মূল্যায়নের হিসেবে বকেয়া মেটাতে শুরু করেছে, তা-ও এ দিন সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র।
অন্য দিকে, ২০১৩ সালের পরে ৬.২ মেগাহার্ৎজের বাড়তি স্পেকট্রামের জন্য এককালীন চার্জ বাতিল করতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল ভোডাফোন-আইডিয়া। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন তা খারিজ করে দিয়েছে। সংস্থাটিকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ বলে, ‘‘কিছুই দিতে হবে না। এটাও দিতে হবে না। এজিআর-ও দিতে হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy