প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে বিক্রি তেমন বাড়েনি বিপুল ছাড় সত্ত্বেও। ফলে প্রত্যাশিতই ছিল নভেম্বরেও তা তেমন বাড়বে না। বাস্তবে হলও ঠিক সেটা। রবিবার টাটা মোটরস, হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া জানিয়েছিল গত মাসে বিক্রি কমে যাওয়ার কথা। সোমবার একই কথা জানাল টয়োটা কির্লোস্কর, অশোক লেল্যান্ড, বজাজ অটো, হোন্ডা মোটরসাইকেলের মতো সংস্থা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাজারে গাড়ির চাহিদা বাড়াতে অগস্টে একগুচ্ছ সুবিধা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, সেটা পরিষ্কার। তার উপরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে বৃদ্ধির হার আরও কমেছে। কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়েনি। উল্টে বাড়ছে ছাঁটাই। চাকরি-বাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় তৈরি হয়েছে খরচে রাশ টানার প্রবণতা। উপরন্তু, আগামী এপ্রিল থেকে সব সংস্থাকে দূষণ কম রাখার নতুন মাপকাঠি সহায়ক বিএস-৬ গাড়িই তৈরি করতে হবে। তাই অনেকে এখন ভারত স্টেজ ৪ (বিএস-৪) মাপকাঠির গাড়ি তৈরি বন্ধ করছে। একাংশের প্রশ্ন, গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সেটাও কি ছাপ ফেলছে? ফেললে কতটা?
এ দিন টয়োটা কির্লোস্কর জানিয়েছে, নভেম্বরে তাদের বিক্রি কমেছে ২২%। তবে সংস্থার ডেপুটি এমডি এন রাজার দাবি, শো-রুমে গাড়ি জমে গিয়ে যাতে বাড়তি চাপ তৈরি না-হয়, সে জন্য ডিলারদের কম গাড়ি বেচছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অর্থনীতির ঝিমুনির দরুন বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রিও ধাক্কা খেয়েছে। ফলে অশোক লেল্যান্ডের বিক্রি কমেছে ২৫%। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৬০০ বাণিজ্যিক গাড়ি কম বেচেছে বজাজ অটো।
বেহাল দশা গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। ফলে প্রভাব পড়ছে দু’চাকার গাড়ির চাহিদায়। বজাজ অটোর বিক্রি কমেছে ১১.৫%। ভারতের বৃহত্তম দু’চাকার গাড়ি নির্মাতা হিরো মোটো কর্পের বিক্রিও কমেছে ১৫.৮১%। বিক্রি কমেছে আর এক দু’চাকার গাড়ি সংস্থা টিভিএস মোটরেরও, ২৬.৫২%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy