প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকি বাড়ছে, এই বার্তা দিয়েই স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, ছোট-মাঝারি শিল্প, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতাদের জন্য একগুচ্ছ সুরাহামূলক পদক্ষেপ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ বার আবাসন ক্ষেত্রের জন্যও সাহায্যের আর্জি জানাল নির্মাণ শিল্পমহল। তাদের দাবি, করোনার নতুন ধাক্কা সামলাতে তা একান্ত জরুরি।
গত বছর আবাসনের বিক্রি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে লকডাউন শিথিলের পরে তা ফের একটু একটু করে বাড়ায় জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে চাহিদার ছবিটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ফলে এপ্রিল থেকে পরিস্থিতি আরও ভাল হওয়ার আশাতেই দিন গুনছিল নির্মাণ সংস্থাগুলি। শিল্পের দুই সংগঠন ক্রেডাই ও নারেডকো এবং এই ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের দাবি, বাড়তে থাকা সংক্রমণ এবং তাকে রুখতে রাজ্যে রাজ্যে বিধিনিষেধের ধাক্কায় ফের থমকে গিয়েছে সেই গতি। কোথাও আটকে নির্মাণের কাজ, কোথাও ফের চাহিদা উধাও। আগ্রহী ক্রেতারা আবার মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন। ফলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্মাণ শিল্পের জন্যও কিছু পদক্ষেপ করুক।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও বুধবার আক্ষেপ করেছেন, ঠিক যখন ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ভারতের অর্থনীতি, তখনই সেই জমি কেড়ে নিয়ে তাকে ফের সঙ্কটের মুখে ঠেলেছে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ। যে কারণে, তড়িঘড়ি ব্যক্তিগত এবং ছোট-মাঝারি শিল্পের কিছু ঋণে গত বছরের মতো ফের এককালীন পুনর্গঠনের সুবিধা বা তা শোধে বাড়তি সময়ের পথ খুলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে ৫০,০০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে প্রতিষেধক, অক্সিজেন উৎপাদক এবং সরবরাহকারী, হাসপাতাল-সহ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং পরিষেবায় তহবিল জোগানোর
ব্যবস্থা করেছে।
ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাতোদিয়া এবং নারেডকো-র প্রেসিডেন্ট নীরঞ্জন হিরানন্দানির আশা, আবাসনের মতো শ্রমনিবিড় ও বড় শিল্পের জন্যও আগামী দিনে নিশ্চয়ই কিছু ঘোষণা করবে আরবিআই। বস্তুত, শক্তিকান্তও জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তাঁরা। ব্যবসার সমস্যা দূর করতে সারা বছর ধরে ছোট-বড় নানা রকম পদক্ষেপ করা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কোন ক্ষেত্রকে কতটা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, সেটা বিচার করার পরেই হয়তো আসবে পরবর্তী দাওয়াই।
নির্মাণ শিল্প অবশ্য চাইছে দেরি না-করে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হোক তাদেরও। ঋণের কিস্তি মেটানোর প্রক্রিয়া গত বছরের মতো এ বারও কয়েক মাস স্থগিত রাখার (মোরাটোরিয়াম) সুরাহা দেওয়া হোক। বন্দোবস্ত করা হোক প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে দায়বদ্ধ ডেভেলপারদের হাতে বাড়তি নগদ জোগানের। পাতোদিয়া বলছেন, দ্বিতীয় সংক্রমণের প্রভাব এ বার বেশি দিন ধরে পড়তে পারে। কারণ এই দফায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। তাই গত বারের তুলনায় এখন আরও বেশি এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সক্রিয় হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, আবাসন ক্ষেত্রকে এই পরিস্থিতিতে ভাল ব্যবসা করতে হলে অদূর ভবিষ্যতেও গৃহঋণে সুদের হার কম থাকা প্রয়োজন। গত বছর সে জন্যই বিক্রি কিছুটা বেড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy