কলকাতা বা এ রাজ্যে চলতি বছরেই মিলবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফাইল চিত্র।
অগস্টে হয়নি। এ বার লক্ষ্য ডিসেম্বর!
প্রায় সাত মাস আগে বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির ৪জি পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী। কিন্তু প্রযুক্তি ও যন্ত্রের কিছু জটিলতার জন্য সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। সম্প্রতি পুরওয়ার জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে ৪জি পরিকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংস্থা সূত্রের খবর, তা ঠিক মতো এগোলে ডিসেম্বরে পঞ্জাব সার্কলে গ্রাহকদের জন্য প্রথম ৪জি পরিষেবা চালু হবে। তার পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য সার্কলে ছড়িয়ে দেওয়া হবে পরিকাঠামো ও পরিষেবা। দিন কয়েক আগে পুরওয়ার আরও জানিয়েছিলেন, এই ৪জি প্রযুক্তিরই সফটওয়্যারের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে ৫জি পরিষেবা চালু হবে। আগামী বছরের ১৫ অগস্ট তা চালুর জন্য টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বেসরকারি টেলি সংস্থাগুলি ৪জি পরিষেবার জন্য বিদেশি ও বহুজাতিক সংস্থার যন্ত্র ব্যবহার করলেও বিএসএনএল-কে দেশীয় প্রযুক্তিই নিতে হবে বলে জানিয়েছিল মোদী সরকার। যা ভারতে ছিলই না। এমনকি বিএসএনএল ৪জি যন্ত্র কেনার জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু করলেও চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার সময়ে তা বাতিল হয়। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি ৫জি পরিষেবা চালু করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি এখনও দু’ধাপ পিছিয়ে।
কেন্দ্রের নির্দেশ মতো রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি-ডটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে টিসিএস এবং টাটা গোষ্ঠীর তেজস দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি তৈরির বরাত পায়। কিন্তু দেশীয় প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়া যেমন বাকি ছিল, তেমনই সেই যন্ত্রের দাম নিয়েও টিসিএসের আপত্তি ছিল বলে খবর। দিন কয়েক আগে পুরওয়ার জানান, ওই পরিকাঠামো কার্যকরের বিষয়ে সি-ডট এবং টিসিএসের সঙ্গে তাঁদের কথা চলছে। নভেম্বর থেকেই সেই প্রযুক্তির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
কিন্তু সংস্থার ৪জি পরিষেবা কবে পাবেন গ্রাহক? শীর্ষ মহলের খবর, ডিসেম্বর থেকে পঞ্জাবে পরিষেবা মিলবে। কারণ, চণ্ডীগড়েই প্রথম ওই প্রযুক্তির পরীক্ষা হয়েছিল। অন্যান্য সার্কলেও ধাপে ধাপে চালু হবে। কলকাতা বা এ রাজ্যে চলতি বছরেই মিলবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy