১৭ বছর পর লাভের মুখ দেখল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল। আর্থিক বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ২৬২ কোটি টাকা লাভ করেছে এই সংস্থা। ২০০৭ সালের পর প্রথম বার লাভ করল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে এই ঘটনাটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন সমাজমাধ্যমে। পরিষেবা সম্প্রসারণ, খরচ কমানোর ব্যবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের কারণে এই মুনাফা হয়েছে হলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সাম্প্রতিককালে যে হারে গ্রাহক যোগ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল, তা আগে কখনও হয়নি। বেসরকারি সংস্থাগুলি মাসুল বাড়ানোর ফলে গ্রাহকেরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিএসএনএলের দিকে ঝুঁকেছেন। বিএসএনএলের হারানো গৌরব ফেরাতে জোর দেওয়া হয়েছে ৪জি পরিষেবায়। ‘বিএসএনএলের গতিশীলতা’, ‘ফাইবার-টু-দ্য-হোম পরিষেবা’ এবং ‘লিজ়ড লাইন’ পরিষেবাগুলিতে গত বছরের তুলনায় ১৪-১৮ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
টেলিকমের গ্রাহক সংখ্যা জুনে ৮.৪ কোটি থেকে বেড়ে ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। একাধিক খাতে খরচ কমাতে পেরেছে সংস্থা। এর ফলে যে বড় ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়েছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে বিএসএনএল। গত বছরের তুলনায় ১,৮০০ কোটি টাকার লোকসান কমাতে পেরেছে টেলিকম সংস্থাটি। মোবাইল সংযোগ বাড়ানোর দৌড়ে প্রতিযোগীদের ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। বিএসএনএলের হারানো গৌরব ফেরাতে জোর দেওয়া হচ্ছে ৪জি ও ৫জি পরিষেবায়। আগামী মে-জুনের মধ্যে এক লক্ষের বেশি ৪জি টাওয়ার চালু হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। বহু এলাকায় চালু হবে ৫জি বলে জানিয়েছেন শিন্ডে। পরিকল্পিত এক লক্ষ টাওয়ারের মধ্যে ৭৫ হাজার টাওয়ার ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে এবং প্রায় ৬ হাজার টাওয়ার চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে সমস্ত টাওয়ার চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী।