সাম্প্রতিককালে যে হারে গ্রাহক যোগ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল, তা আগে কখনও হয়নি। তাঁদের ধরে রাখত মাসুল স্থির রাখা থেকে ভুয়ো কল আটকানো, দ্রুত ৫জি পরিষেবা পাওয়ার মতো নানা সুবিধাও আনছে।
বেসরকারি সংস্থাগুলি মাসুল বাড়িয়ে গ্রাহকদের রোষের মুখে পড়েছে। তবে মঙ্গলবার বিএসএনএলের সিএমডি রবার্ট রবি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তাঁদের এমন পরিকল্পনা নেই। অন্য দিকে, এ দিনই ভুয়ো বা অবাঞ্ছিত কল এবং এসএমএস রুখতে স্প্যাম ব্লকার চালু, সিম কেনার কিয়স্ক, ডিরেক্ট টু ডিভাইস সংযোগ-সহ একগুচ্ছ সুবিধার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।জানান, বিএসএনএলের হারানো গৌরব ফেরাতে জোর দেওয়া হচ্ছে ৪জি ও ৫জি পরিষেবায়। যার জোরে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেক্কা দিতে পারে তারা। বলেন, ‘‘আগামী মে-জুনের মধ্যে এক লক্ষের বেশি ৪জি টাওয়ার চালু হবে। বহু এলাকায় চালু হবে ৫জি।’’ এখন তাদের ৪জি টাওয়ার প্রায় ৩৮,০০০।
সূত্রের খবর, ৪জি আনার পরে প্রায় ১.৮ কোটি নতুন গ্রাহক পেয়েছে বিএসএনএল। নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের তথ্য বলছে, দেশে তাদের গ্রাহক (জুলাই পর্যন্ত) প্রায় ৮.৯ কোটি। শুধু জুলাইয়েই বেড়েছে ৩০ লক্ষ, যেখানে এই সময়ে বকিরা হারিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)