ছবি: সংগৃহীত
তাঁর বিরুদ্ধে ‘কুকথা’ কিংবা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বারবার। সে জন্য দলের নেতাদের রোষেও পড়েছেন বিজেপির সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে। তিনিই এ বার ফের বিতর্কে জড়ালেন বিএসএনএলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে। যেখানে তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির পরিষেবা নিম্নমানের, কারণ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবন প্রকল্প আনলেও কর্মী-অফিসারেরা কাজ করেন না। বিশ্বাসঘাতক তকমাও দিয়েছেন তাঁদের। শুধু তা-ই নয়, হেগড়ের হুমকি, বিএসএনএলের বেসরকারিকরণ হবে। ছেঁটে ফেলা হবে আরও অনেককে। যা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সংস্থার কর্মী-অফিসারেরা।
তাঁদের সংগঠন অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন অব বিএসএনএলের অভিযোগ, বিপুল কর্মী-অফিসারকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া ছাড়া এখনও কিছু করেনি কেন্দ্র। সেই সঙ্গে পাল্টা তোপ, বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকারই সংস্থাটিকে দুর্বল করেছে। বরং কাজ করে গিয়েছেন ‘দেশপ্রেমিক’ কর্মী-অফিসারেরা। হেগড়েকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে তারা। দফতরে ও টুইটারে এ নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছে।
সোমবার কর্নাটকে হেগড়ের মন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আগামী দিনে বিএসএনএল বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জল্পনা ইতিমধ্যেই রয়েছে বাজারে। বেসরকারিকরণের হুমকি সেটাই উস্কে দিয়েছে। কর্মীদের ক্ষোভ, শাসকদলের সাংসদ হয়ে হেগড়ে যা নয় তাই বলেন কী করে! প্রতিযোগীরা যখন ৫জি আনার কথা ভাবছে, তখন ৪জি পরিষেবার আনার জন্য বিএসএনএলকে যন্ত্র কেনার দরপত্র বাতিল করতে হয়েছে কেন্দ্রেরই নির্দেশে। কারণ বেসরকারি সংস্থাগুলি উন্নত বিদেশি যন্ত্র ব্যবহার করলেও সরকারি ফতোয়া, বিএসএনএল সেটা করতে পারবে না। ফলে ৪জি পরিষেবাই বিশ বাঁও জলে।
অনন্ত হেগড়ের মন্তব্য
• বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক খারাপ। মানুষও তা জানেন।
• কর্মী-অফিসারেরা ‘বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী, অলস’।
• সরকার আর্থিক সাহায্য করেছে। পরিকাঠামো তৈরি। কিছুরই খামতি নেই। কিন্তু কাজ করতে অনীহা তাঁদের।
• প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছেন। মানুষের পরিষেবা দরকার।
• বিএসএনএল ও এয়ার ইন্ডিয়া, মাত্র দু’টি সংস্থাই দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
• বিএসএনএল দেশের লজ্জা।
• তার ৮৫ হাজার কর্মীকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরকারে আরও হবে।
• সংস্থাটি বেসরকারিকরণই একমাত্র পথ। অন্য বিকল্প নেই।
কর্মীদের ক্ষোভ
• সাংসদের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক, নিন্দনীয়। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
• প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিএসএনএল প্রত্যন্ত এলাকাতেও আমজনতাকে ভরসা দেয়।
• দেশপ্রেমিক কর্মী-অফিসারেরাই পরিষেবা উন্নত করতে আন্দোলন ও পদক্ষেপ করেছেন।
• বিএসএনএল-বিরোধী ও বেসরকারি সংস্থার সহায়ক নীতির জন্য দুর্বল হয়েছে সংস্থাটি।
• ভিআরএস ছাড়া পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের বাকি সবটাই এখনও কাগজে আটকে।
• এক পয়সাও সরকারি আর্থিক সাহায্য মেলেনি।
• ৪জি পরিষেবার যন্ত্রের দরপত্র চাইলেও, এক বিশেষ পক্ষের অভিযোগে তা বাতিল করতে বলে কেন্দ্র। ফলে পরিষেবাও থমকে।
• আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও টুইটারে এ নিয়ে প্রচার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy