প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা টেলিকম শিল্পে নগদের জোগান বাড়াতে সম্প্রতি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। তাতে স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি খাতে বকেয়া মেটানোয় দায় চার বছর স্থগিত রাখার সুবিধা বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে পাওয়ার কথা বিএসএনএলেরও। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির কর্মী ইউনিয়ন বিএসএনএলইইউ-এর অভিযোগ, আখেরে এটা তাদের তেমন কাজে আসবে না। কারণ, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে রেহাই দিতে মোদী সরকার যতটা আগ্রহী, তাদের ততটা নয়। সেই জন্যেই পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণার পরে দু’বছর গড়াতে চললেও বিএসএনএলের পুরোদস্তুর ৪জি পরিষেবা আসেনি। সংস্থা আর্থিক সঙ্কটে থাকলেও তাদের ৩৯ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটায়নি কেন্দ্র।
টেলিকমে সরাসরি ১০০% বিদেশি লগ্নির পথ খোলা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএসএনএলইইউ-এর প্রেসিডেন্ট অনিমেষ মিত্র দে। তাঁর হুঁশিয়ারি, এতে বহুজাতিক সংস্থার হাতে যেতে পারে একাধিক সংস্থা। বিশেষত বিএসএনএল-কে টিকিয়ে রাখা নিয়ে সরকার যেহেতু উদাসীন। কর্মীদের ক্ষোভ, এ ভাবে বিদেশি লগ্নি টানার ব্যবস্থা করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে চাইছে মোদী সরকার। কিন্তু বিএসএনএলকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এত দিনেও ৪জি আনা গেল না। উল্টে ওই পরিষেবা দেওয়ার যন্ত্রাংশ কেনাই এখন আটকে গিয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় আরও পিছিয়ে পড়ছে তারা। অথচ আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও ভোডাফোন ৫জি পরিষেবার পরীক্ষায় নেমে পড়েছে।
চিনা সংস্থাকে আটকাতে যন্ত্রাংশ কেনার আন্তর্জাতিক দরপত্র গ্রহণ বাতিল করেছিল কেন্দ্র। ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, তার বদলে দেশি যন্ত্রাংশ কিনতে বলা হয়, যা উপযুক্ত কি না প্রশ্ন আছে। অথচ বেসরকারি সংস্থা বিদেশি যন্ত্রাংশ কিনেই উন্নত পরিষেবা দিচ্ছে। তাদের প্রশ্ন, এই বৈষম্য কেন? তার উপরে টেলিকম দফতরের কাছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা পায় বিএসএনএল। অনিমেষের দাবি, আর্থিক টানাটানির সময় সেই টাকা পেলে উপকার হত। ব্যাঙ্কে সংস্থার ধার ৩০ হাজার কোটি। সেটা মেটানো যেত। কেন্দ্র বলেছে, চার বছর পরেও টেলি সংস্থা বকেয়া মেটাতে না-পারলে তা শেয়ারে বদল করে প্রাপ্য উসুল করবে তারা। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সংস্থার অংশীদার হবে সরকার। এতে বিএসএনএল আরও বেশি উপেক্ষিত হবে কি না, সেই সন্দেহও দানা বাঁধছে কর্মীদের মনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy