প্রতীকী ছবি
চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল) বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় মোদী সরকার। কিন্তু দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলির জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা, সম্ভাব্য বাজারদর-সহ নিলামের জটিল প্রক্রিয়ার কারণে তা পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ফিচ রেটিংস।
মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, চলতি অর্থবর্ষে বিপিসিএলের বিক্রি গত বছরের থেকে সামান্য বেড়ে ৪.৩ কোটি টনে পৌঁছনোর আশা করা হচ্ছে ঠিকই। তবে তা ২০১৯-২০ সালের তুলনায় ৬% কম। যদিও তেল শোধন খাতে আয় গত অর্থবর্ষের থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩.৫ ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা। এই অবস্থায় সংস্থার বিপণন বাবদ আয় গত বছরের রেকর্ড অঙ্কের চেয়ে কম হবে বলে মনে করছে ফিচ। শুধু তা-ই নয়, অশোধিত তেলের দর আগামী দিনে আরও বাড়তে থাকলে আয় আরও কমতে পারে। চাপে পড়তে পারে সংস্থাটি।
ফিচের বক্তব্য, বিপিসিএল বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নিলাম প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই পরিস্থিতি। যা সামলাতে কর কমাতে হতে পারে কেন্দ্রকে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এখন অর্থনীতি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে সরকার চাইলে তা কমাতেও পারে বলে জানাচ্ছে তারা।
তার উপরে মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, বিপিসিএল হাতে নিতে আগ্রহী সংস্থাগুলি নিয়ম অনুসারে নিজেদের কাজ করছে ঠিকই। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এবং তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলির বিকল্প জ্বালানির দিকে ঝোঁক এই ক্ষেত্রের শেয়ার বিক্রির সময় ও তার মূল্যায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। যে কারণে সংস্থার ব্যবসা নিয়ে ঝুঁকি নেই জানিয়েও বিপিসিএলের মূল্যায়ন আপাতত ‘BBB-’-এই বেঁধে রেখেছে তারা। জানিয়েছে, নেতিবাচক
দৃষ্টিভঙ্গির কথাও।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চায় কেন্দ্র। এর মধ্যে বিপিসিএলে তাদের পুরো অংশীদারি (৫২.৯৮%) কিনতে বেদান্ত গোষ্ঠী-সহ তিনটি প্রাথমিক দরপত্র জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, এ ছাড়াও দু’টি আন্তর্জাতিক ফান্ড সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অ্যাপোলো গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট। আর্থিক দরপত্র চাওয়া এখনও বাকি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy