—প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। কেন্দ্রের দাবি, তা ঠেকানোর জন্য গত তিন মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে প্রতারণায় বিশেষ ভাটা পড়েছে এমন নয়। সূত্রের খবর, এ বার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে ব্যাঙ্কগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কিং বিধি পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে তারা। যদিও শীর্ষ ব্যাঙ্ক, অর্থ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চায়নি।
সরকারি পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, ২০২১ সাল থেকে তিন বছরে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে রাখা প্রায় ১০,৫০০ কোটি টাকা হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে সারা দেশে প্রত্যেক দিন ৪০০০ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। প্রতারণামূলক ফোনকল হয়ে দাঁড়িয়েছে কার্যত নিয়মিত ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, প্রতারক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিলেও, গ্রাহক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে ব্যাঙ্ক কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। তার পরেও পদক্ষেপ করতে অনেকটা সময় গড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু যে সমস্ত অ্যাকাউন্টকে কাজে লাগিয়ে এই প্রতারণা চলছে, সেগুলির বিরুদ্ধে যাতে ব্যাঙ্কগুলি দ্রুত পদক্ষেপ করে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করতে চাইছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে সেই স্বাধীনতা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিধি সংশোধন করতে চাইছে তারা। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার অপরাধ দমন শাখা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তার পরে বিধি সংশোধন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy