শেষ টান: আজ গ্রেটার নয়ডায় শুরু হচ্ছে অটো এক্সপো। মঙ্গলবার সেখানে এক চিনা সংস্থার প্যাভিলিয়নে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
শেষ মুহূর্তের সাজ চলছে পুরোদমে। কাহিল অর্থনীতি ও চাহিদার অভাবে বিক্রিতে যে ধাক্কা সয়েছে দেশের গাড়ি বাজার, তার ক্লান্তি এড়াতে চেষ্টার কসুর করছেন না আয়োজকেরা। যাবতীয় হতাশা দূরে ঠেলে গাড়িপ্রেমীদের মন পেতে তৈরি সংস্থাগুলিও। তবু ছায়া ঘনাল গ্রেটার নয়ডার আন্তর্জাতিক গাড়ি মেলা ও দিল্লির প্রগতি ময়দানে গাড়ির যন্ত্রাংশ মেলায়। তবে সেটা করোনাভাইরাস নিয়ে আশঙ্কার। যার আঁচ পাওয়া গেল উদ্যোক্তাদের বার্তায়। তাঁরা সকলকে আশ্বস্ত করে জানালেন, দুই মেলাতেই অংশ নিচ্ছে চিনা সংস্থা। কিন্তু কোনও চিনা কর্মী-আধিকারিক কিংবা সম্প্রতি চিন থেকে আসা কেউ মেলায় থাকবেন না। পড়শি মুলুক থেকে যে কর্তাদের আসার কথা ছিল, বাতিল হয়েছে তাঁদের সফর।
গ্রেটার নয়ডার ইন্ডিয়া এক্সপো মার্টে আন্তর্জাতিক গাড়ি মেলা (অটো-এক্সপো) শুরু কাল, বুধবার। আয়োজক, গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম। প্রগতি ময়দানে যন্ত্রাংশ মেলা বসবে বৃহস্পতিবার থেকে। উদ্যোক্তা, এই শিল্পের সংগঠন অ্যাকমা। দু’টি মেলাই ইতিমধ্যে ঠাঁই পেয়েছে আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনীর মানচিত্রে। ভারতে ব্যবসা করা বা ভবিষ্যতে করতে আগ্রহী বহু বিদেশি সংস্থা বাজার পরখ করতে অংশ নেয় সেখানে। নতুন গাড়ি-যন্ত্রাংশ, নতুন প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনের দিকে চোখ থাকে শিল্পের পাশাপাশি গাড়িপ্রেমীদেরও।
উদ্যোক্তারা একবাক্যে বলছেন, বিক্রিবাটা নেতিয়ে থাকায় কিছু সংস্থা অংশ নিচ্ছে না ঠিকই। তবে সাড়া মিলছে না, বলা যাবে না। বরং নয়ডায় নতুন মডেলের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে ক্রেতার গাড়ি কেনার ইচ্ছে বাড়াতে মরিয়া অনেকে। আসছে বেশ কিছু নতুন সংস্থা। এমনকি এ বারই প্রথম চিনের একাধিক প্রথম সারির সংস্থা অংশ নিচ্ছে। যেমন, এসএআইসি, গ্রেট ওয়াল মোটর, বিওয়াইডি, ফার্স্ট অটোমোবাইল ওয়ার্কস। তাদের কেউ ভারতে পা রেখেছে, কেউ রাখতে চাইছে।
তবে তারই মধ্যে বিনবিন করছে ভাইরাস-ভয়। যা কাটাতে সিয়াম ও অ্যাকমার প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে রাজন ওয়াধেরা ও দীপক জৈন জানান, সব চিনা সংস্থাই গাড়ি ও যন্ত্রাংশ প্রদর্শনের দায়িত্বে শুধু ভারতীয় কর্মীদের রাখছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে চিনের বাসিন্দা যে সব কর্মী-আধিকারিকেরা ভারতে কাজ করেন, তাঁদেরও মেলা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
ভারতে পা রাখতে চায় পড়শি মুলুকের গ্রেট ওয়াল মোটর। সংস্থার এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর পি বালেন্দ্রন জানালেন, মাস খানেকেরও বেশি দিন ধরে তাঁদের চিনা কর্মীরা মেলায় সংস্থার প্রদর্শনীর কাজ করেছেন। এঁদের কেউ এর মধ্যে চিনে যাননি। তবুও কাল থেকে মেলায় থাকবেন না তাঁরা। সংস্থার উচ্চপদস্থ যে কর্তাদের আসার কথা ছিল, আসছেন না। কারণ বিদেশ ভ্রমণে রাশ টেনেছে বেজিংও।
তবে সূত্রে খবর, গাড়ি মেলায় যারা জায়গা নিয়েছিল তারা সবাই এলেও, যন্ত্রাংশ মেলায় করোনাভাইরাসের দরুন বহু চিনা সংস্থা আসছে না। ২০০টি ছোট-মাঝারি সংস্থার আসার কথা থাকলেও, আসছে ৩০টির মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy