এটিএম কার্ডেই রয়েছে বিমার সুবিধা। —প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে এটিএম কার্ড অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। টাকা তোলা ছাড়াও, ঋণ নেওয়া, কেনাকাটা-সহ বিভিন্ন সুবিধা এটিএম কার্ড থেকে পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এক জন গ্রাহক একাধিক এটিএম কার্ডও ব্যবহার করে থাকেন। ব্যাঙ্ক এটিএম কার্ড ইস্যু করার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহক এই বিমার সুবিধা পান।
বেশির ভাগ ব্যাঙ্কেই দুর্ঘটনাজনিত বিমার ক্ষেত্রে, বিমানে দুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্ঘটনার বিমার পরিমাণ আলাদা থাকে। সেই সঙ্গে কত টাকা পাওয়া যাবে নির্ভর করে কার্ডের উপর। এ ছাড়াও মৃত্যুর কত দিন আগে সেই এটিএম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই সময় ৪৫ দিন, তো কোনও ব্যাঙ্কের ৩০ দিন।
প্রতিটি ব্যাঙ্কেই ভিসা, রুপে এবং মাস্টারকার্ডের প্ল্যাটিনাম, গোল্ড, প্রাইড, প্রিমিয়াম, ক্লাসিক-সহ বিভিন্ন রকমের কার্ড থাকে। স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এসবিআই গোল্ড এবং প্রাইড কার্ডে (ভিসা, মাস্টারকার্ড) দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দুই লক্ষ টাকার বিমা থাকে। প্রিমিয়াম এবং প্ল্যাটিনাম কার্ডে এই বিমার পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকা। বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এই বিমার পরিমাণ প্রতি ক্ষেত্রেই বেশি। স্টেট ব্যাঙ্কের রুপে প্ল্যাটিনাম কার্ডের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই বিমার পরিমাণ দুই লক্ষ টাকা, তবে মৃত্যুর আগের ৩০ দিনের মধ্যে কার্ডটি কোনও ভাবে ব্যবহার করতে হবে। তবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে টাকার পরিমাণে পার্থক্য থাকে।
কী ভাবে এই সুবিধা পাবেন?
মৃত্যুর পরেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হবে। ক্লেম ফর্মের সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, মৃত্যুর শংসাপত্র, হাসপাতাল থেকে পাওয়া মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য, উত্তরাধিকারের পরিচয়পত্র এবং মৃত ব্যক্তির সঙ্গে উত্তরাধিকারের সম্পর্কের প্রমাণ-সহ বিভিন্ন তথ্য জমা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy