— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অসমে বছরে প্রায় ৮০,০০০ টন বৈদ্যুতিন বর্জ্য (ই-ওয়েস্ট) তৈরি হয়। সমগ্র উত্তর-পূর্বকে মেলালে পরিমাণ বিপুল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, এই বর্জ্য সর্বাধিক ৯০ দিন মজুত রাখা যায়। অথচ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০১৫ সাল থেকে তা সংগ্রহ করা হলেও, কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়। ফলে বৈদ্যুতিন বর্জ্য সঞ্চয় ও নিষ্কাশনের পরিমাণ ও অনুপাত কম। সেই সমস্যা কাটাতেই এ বার কলকাতার ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা হুলাডেকের সাহায্য নিচ্ছে অসম সরকার।
সম্প্রতি গুয়াহাটিতে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সম্মেলন করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও হুলাডেক। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন হোটেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের প্রতিনিধিরা। পর্ষদের চেয়ারম্যান অরূপ কুমার মিশ্র জানান, হায়দরাবাদে বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের পরে সোনা, রুপো, প্যালাডিয়াম, প্লাটিনামের মতো মূল্যবান ধাতু বার করা হয়। কিন্তু ভারতে এখনও এই ব্যবসা জনপ্রিয় নয়। ফলে বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক ই-ওয়েস্ট এখানে তৈরি হলেও, তার ব্যবস্থাপনায় চিন ও আমেরিকার থেকে ভারত অনেক পিছিয়ে। তাই আরও বেশি করে অসমে ই-বর্জ্য সংগ্রহের রোডম্যাপ তৈরি জরুরি।
মিশ্রের দাবি, বর্তমানে মোট ই-বর্জ্যের ৭০% কম্পিউটার সংক্রান্ত সামগ্রী, ১২% টেলিযোগাযোগের ও ৮% হাসপাতাল থেকে আসে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সামনেই তা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুলাডেকের গুদাম থাকছে লখরা, চাংসারি, নলবাড়িতে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নন্দন মল জানান, কলকাতার পরেই তাঁরা গুয়াহাটিতে এই বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করেছিলেন। এখন অসমে বর্জ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় তার ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে। হেল্পলাইনে ফোন করলে বাড়ি বা দফতরে এসে তাদের প্রতিনিধিরা বর্জ্য নিয়ে যাবেন। ধাতু নিষ্কাশিত ধাতুর বিনিময়ে টাকা দেওয়া হবে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy