—প্রতীকী চিত্র।
দেশে কাজের বাজারের অনিশ্চয়তা বহু দিন ধরে প্রশ্নের মুখে। কর্মীদের একাংশের দক্ষতা বৃদ্ধিরও দাবি উঠছে। এ বার সেই সমস্যাকে তুলে ধরেই সমীক্ষা জানাল, ভারতের কলেজগুলি থেকে পড়ুয়াদের কাজে নিয়োগ করার যে প্রক্রিয়া (ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ) চালায় বিভিন্ন সংস্থা, তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সকলের চাকরি হয় না। ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ মারফত সমস্ত পড়ুয়া চাকরি পান মাত্র ৭% কলেজ থেকে। তাঁরা নিজেদের পাঠ্যক্রমকে চাকরির উপযোগী মনে করলেও, নিয়োগকারীরা পেশাগত দক্ষতায় ঘাটতির অভিযোগ তোলেন।
রিপোর্টে চাকরিতে লিঙ্গবৈষম্যের কথাও বলা হয়েছে। দেখা গিয়েছে— কলা, বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে ছেলেরা যেখানে ৬-১০ লক্ষ টাকা বেতনের কাজ পেয়েছেন বেশি, সেখানে মেয়েরা ২-৫ লক্ষের। বিজ়নেস স্কুলগুলিতে ৫৫% পুরুষেরা ১৬ লক্ষ টাকার বেশি বেতনের চাকরি পেয়েছেন। মহিলাদের হার ৪৫%।
১১,০০০ পড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী এবং মানবসম্পদ বিভাগের পেশাদারদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছে নিয়োগ উপদেষ্টা আনস্টপ। রিপোর্টে প্রকাশ, তাতে অংশ নেওয়া ৯১% পড়ুয়ার বিশ্বাস, পাঠ্যক্রম চাকরির জন্য তৈরি হতে সাহায্য করে। কিন্তু ৬৬% সংস্থা ও ৪২% সহযোগীর মতে, দক্ষতা ও প্রস্তুতির অভাব স্পষ্ট। ৮৮% মানবসম্পদ পেশাদার পড়াশোনা, শিক্ষানবিশি, প্রজেক্টে অংশগ্রহণ, অভিজ্ঞতা বা সুপারিশ পত্রের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন পেশাগত দক্ষতা ও অগ্রগতির সম্ভাবনাকে।
কাজের বাজারের অনিশ্চয়তাও চাকরি বাছাইয়ের পথে অন্তরায়, বলছে সমীক্ষা। পাঁচ জন পড়ুয়ার তিন জনই জানাচ্ছেন, তাঁদের পছন্দ সুরক্ষিত চাকরি, বেতন কম হলেও। অধিকাংশের কাছে বাড়তি সুবিধার তুলনায় জরুরি হাতে আসা টাকা। সে জন্য বিজ়নেস স্কুলের বেশির ভাগেরই পছন্দ প্রতিষ্ঠিত সংস্থা, স্টার্ট-আপ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy