—প্রতীকী চিত্র।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির পুঁজিতে যাতে টান না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বারবার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও একাধিক বার এই সংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়া বাড়াতে বলেছেন। কিন্তু রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) আদতে এই ক্ষেত্রের ঋণ বৃদ্ধির হার কমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ছোট শিল্প ক্ষেত্রকে ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলে মনে করা হয়। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানও তৈরি হয় এই সংস্থাগুলিতেই। তা সত্ত্বেও তাদের সম্পর্কে পুরনো ধারণা দূর করতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। মনে করছে, ছোট শিল্পের ঋণের বুঝি অনুৎপাদক সম্পদে (এনপিএ) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনের শেষে মাঝারি শিল্পের মোট ঋণের অঙ্ক ছিল ২,৬৩,৪৪০ কোটি টাকা। এক বছর আগে ছিল ২,৩২,৭৭৬ কোটি। ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের ক্ষেত্রে তা ৫,৫৩,৬৭৫ কোটি থেকে বেড়ে ৬,২৫,৬২৫ কোটি হয়েছে। তবে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও তার বৃদ্ধি ছিল ঝিমিয়ে (সারণিতে)।
ছোট শিল্প ক্ষেত্রের সংগঠন ফিসমের সেক্রেটারি জেনারেল অনিল ভরদ্বাজের বক্তব্য, এক একটি ছোট সংস্থাকে ঋণ পেতে কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘ছোট সংস্থার ঋণের বিষয়টি শুধু পদ্ধতিগত জটিলতাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের ভাবনাচিন্তার মধ্যেই সমস্যা রয়েছে। তারা মনে করে ছোট সংস্থাকে ঋণ দিলে তা এনপিএ-তে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।’’ সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০১৮ সালে ছোট শিল্পের ঋণ সংক্রান্ত একটি কমিটি তৈরি করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রয়োজন এবং প্রাপ্ত ঋণের ফারাক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ছোট সংস্থা স্যামটেল এভিয়নিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও পুনিত কউরা বলেন, ‘‘এখন বড় সংস্থাগুলি বেশি ঋণ পায়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে সত্যিই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে গেলে এই অবস্থার বদল প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy