—প্রতীকী চিত্র।
পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছিল দ্বিতীয় দফার মোদী সরকার। ২০৪৭-এর আগে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার বার্তা দিতে গিয়ে এই পরিকাঠামোকেই অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নতুন সরকারও ওই ক্ষেত্রকে তুরুপের তাস করে এগোবে বলে ইঙ্গিত মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার সমীক্ষায়। তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, পরিকাঠামো নির্মাণে জোর বহাল থাকবে। বরাদ্দ খরচ আরও বাড়বে রেলপথ, সড়ক এবং জলপথের জন্য।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পরিকাঠামোয় খরচ বৃদ্ধির সুফল প্রশ্নাতীত। শিল্পের লগ্নি টানার অন্যতম চাবিকাঠি স্থায়ী পরিকাঠামো। তার উপর এই ক্ষেত্রটি প্রচুর কাজ তৈরি করে। বহু অদক্ষ এবং আধা-দক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। সহযোগী অসংখ্য ক্ষেত্রে এই সমস্ত ইতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে একই ভাবে। মূলধনী খরচের ফসল তোলা যায় দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধিতে। নতুন সরকারের পরিকাঠামোয় জোর দেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মসংস্থান বা জিডিপি বৃদ্ধির মতো বিষয়কে তুলে ধরেছে ইক্রাও।
বস্তুত, অতিমারির পরে ভারতের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ধারাবাহিক ভাবে পরিকাঠামোর উপরেই ভরসা করে আসছে কেন্দ্র। গত ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত চলতি অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেটে দ্বিতীয় দফা মোদী জমানার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ ১১% বাড়িয়ে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা করেছিলেন।
ইক্রার সমীক্ষা বলছে, জোট সরকারে শরিকদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। ফলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত অনুসারে এই ক্ষেত্রের আওতাভুক্ত বিভিন্ন অংশের অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। সেই অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রের গুরুত্ব বদলানোও অসম্ভব নয়। তবে শেষ পর্যন্ত পরিকাঠামো খাতে মূলধনী খরচ স্বাস্থ্যসম্মত বৃদ্ধি দেখবে বলেই আশা করা হচ্ছে। কারণ, প্রথমত, এই খরচ সার্বিক ভাবে জাতীয় উৎপাদনকে অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয়ত, তার হাত ধরে প্রধানত অদক্ষ বা কম দক্ষ অসংখ্য মানুষ কাজ পান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy